প্রশাসন

বেনজীর আহমেদের বক্তব্যে সব পুলিশ সদস্য ক্ষুব্ধ: পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বাহিনীর সব সদস্য মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। আজ শুক্রবার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলুর সই করা বিবৃতিটি গণমাধ্যমে দেওয়া হয়।

‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন যড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ’ শিরোনামে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনী গঠনে পুলিশের সব সদস্য দৃঢ়তার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছেন। পুলিশ বাহিনীর যেসব বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ ছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাঁদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্য একমত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তাঁর একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের চোখে পড়েছে।

ওই বক্তব্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এবং এর সদস্যদের পেশাদারত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করে বলে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মনে করে। এ ধরনের সভায় অংশ নেওয়া ও বক্তব্য দেওয়া দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এমন ব্যক্তির দায়ভার কখনো কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা এবং দুদকের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সব পুলিশ সদস্য মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

সম্প্রতি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের একটি কথোপকথন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভার্চুয়াল বৈঠকে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেন।

তবে সেটি প্রকৃতই বেনজীর আহমেদের বক্তব্য কি না, তা আজকের পত্রিকা যাচাই করেনি।

ওই আলোচনায় বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আপনারা যখন (আওয়ামী লীগ) সংগঠিত হবেন, তখন পুলিশের উপস্থিতি আপনাদের সামনে থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিএনপি-এরশাদের আমলে অনেক এমপি পুলিশের মধ্যে তাঁদের লোক ঢুকিয়েছিল। এসব লোক এখনো পুলিশে রয়েছে, যারা নিজেরা পার্টির সঙ্গে যুক্ত এবং রাজনৈতিক কাজে সক্রিয়। এ ধরনের পুলিশ সদস্যদের এখনো অনেকে তাঁদের কাজে সক্রিয় এবং রাজনৈতিক অবস্থান নিতে প্রস্তুত।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button