গাজীপুরে বিএনপি নেতা কাশেমের গরু চুরির প্রতিবাদ করায় অসহায় মজিদাকে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা, প্রসাশনের নিরব ভূমিকা

স্টাফ রিপোটারঃ গাজীপুরের ভবানীপুরে পাটপাঁচা গ্রামের আব্দুল বাতেনের স্ত্রী মজিদা খাতুন দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে অতি কষ্ট মানবতা ও সরলতা নিয়ে সৎ ভাবে জীবন যাপন করে আসছে। অনেক কষ্টে দ্বার দেনা করে বুকে পাথর চাপা দিয়ে বিটে বাড়ি বন্ধক রেখে দুই সন্তানকে দেশের বাহিরে পাঠায়।
তার পর থেকে শুরু হয় তার সংসারের কষ্টের জীবন এবং আসে পাশের প্রতিবেশির মনমালিন্য ও সত্রুতা, স্বামীর অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত মেয়েকেও সংসারের অভাব অনটনের জন্য চাকরীতে দেন এবং বাড়িতে একাই থাকেন,আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য দিনের কাজে তার স্বামী চিল্লায় অংশ গ্রহনে যায়। গত ২৪/০২/২৫ ইং তারিখে তার স্বামীও মেয়ে বাড়িতে না থাকায় সে নিজেই তার পালন কৃত ৩টি গরু ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে ছেড়ে দিয়ে আসেন এবং দুপুর আনুমানিক ১.৩০ মিনিটে গরু গুলোকে পানি খাওয়ার জন্য আনতে গেলে দেখতে পারে যে প্রতিবেশি সুলতান মিয়ার ছেলে মোঃ কাশেম গরুগুলোকে নিয়ে চলে যাচ্ছে তার কাছে জানতে চায় দিনের বেলা গরু নিয়ে কোথাই যাচ্ছেন সে উত্তিজিত ভাবে বলে যে এটা আমার গরু আমি নিয়ে যাচ্ছি। তুই পারলে আমাকে আটকা এর পরে মজিদা চিৎকার করে বলে দুনিয়াটা কি এতই সহজ দিন দুপুরে তুমি ডাকাতি করবা দেশে কি আইন নেই।
এ কথা বলার সাথে সাথেই কাশেমের হাতে থাকা গজারি গাছের ডাল দিয়ে এলোপাথালি বাড়ি শুরু করে এবং বলে যে তুই কি বল্লি আমার এখন দল ক্ষমতায় আইন আমি পকেটে নিয়ে ঘুরি, তার উচ্চস্বরে গালিগালাজ করার কারনে তার পরিবারের তার মা তার স্ত্রী তার মেয়ে এবং তার ছেলে সহ আরও বেশ কিছু লোক উপস্থিত হয় এবং মজিদাকে তার মেয়ের হাতে থাকা দাঁ দ্বারা আঘাত করলে মাটিতে পরে যায় সাথে সাথেই কাশেমের স্ত্রী তার মা মজিদা গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণের গহনা ছিনিয়ে নেয় এবং কিল ঘুষি মারতে থাকে একপর্যায়ে কাশেমের ছেলে মজিদার চিল্লাচিল্লি জন্য তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাচিপে ধরলে কাশেম ও লোকমান মজিদার মুখের ভিতর তাদের সাথে থাকা গামছা প্রবেশ করিয়ে দেয়। এবং মারপিট করে তৎক্ষণাৎ মজিদা জ্ঞান হারিয়ে ফেল্লে তারা তাকে রক্তাত অবস্থায় ওখানেই ফেলে রেখে চলে যায় এর পর আসে পাশের লোক জন তাকে এই অবস্থায় দেখে তার মেয়েকে খবর দেয়।
তার পর তার মেয়ে সেখানে পোঁছায় এবং তাকে নিয়ে লোকজনের সহায়তায় জয়দেবপুর থানাতে পোঁছায় এবং ওসি সাহেবের স্বরর্ণাপর্ণ হই তারা তার মায়ের অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল হাসপাতাল,পাঠিয়ে দেন এবং বলেন আগে রোগী সুস্থ করেন পরে মামলা । তার পর সে লোকজনের সহযোগিতায় গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায যার (রেজিঃ) ১৩৭৩/২৩ ইং ২৪/০২/২৫ তারিখে ভর্তি করিয়া চিকিৎসা নেয় । উল্লেখ্য তার বাড়িতে দেখা শুনা করার মত কোনো অভিবাবক না থাকায় গত ২৬/০২/২৫ তারিখে সে তার মাকে এম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নিয়ে যায়, এবং তার মাকে বাড়িতে রেখে সাথে সাথেই জয়দেবপুর থানায় উপস্থিত হয় এবং অভিযোগ দায়ের করে তারপর ওসি সাহেব তাকে বলে আপনি চলে যান আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওসি সাহেবের কথা মত সেখান থেকে সে চলে যায় । থানা থেকে বের হওয়ার পর যাওযার পথে (১) নং আসামি কাশেমের স্ত্রী ও ৩ নং আসামি লিজা তাকে বলে থানায় গিয়ে আমাদের নামে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। কাশেম এখন বি,এনপির বড় নেতা থানার ওসি সহ এসপি ডিসি এমনকি গাজীপুরের সব বর বর নেতারাই তার কথা মত চলে।
উল্টো তুই আর তর মায়রে কালকে থানায় ভরতাছি এই হুমকি প্রধান করে তারা ওখান থেকে চলে যায় তার পর অনেক ভয়ে ভয়ে সে তার বাড়িতে পৌঁছায় । পরের দিন সকালে বেশ কিছু লোকের মুখে শুনতে পায় এখনত মেরে গরু আর গয়না নিয়ে গেছে এরপর মা মেয়ে দুজনকেই মেরে জঙ্গলের ভিতরে মাটির নিচে পুতে রাখবে তখন বুঝবে যে কাশেমকে ! এই কথা শুনার পর সে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন ও অপরাধ বিচিত্রা গাজীপুর এর স্বরর্ণাপর্ণ হয় এবং সহযোগিতায় কামনা করে । অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত টিম জানতে পারে যে বিবাদী (১) মোঃ কাশেম (৩৫), পিতাঃ সুলতান, (২) আম্বিয়া (৫০), স্বামী- সুলতান (৩) লিজা (২১), পিতা- মোঃ কাশেম (৪) লোকমান (৩০), পিতা- মফি সর্ব সং- চোঙ্গারচালা, থানা- জয়দেবপুর,জেলা- গাজীপুর দীর্ঘ দিন যাবত সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদিকে কেন্দ্র করিয়া মনোমালিন্য ও শত্রুতা পোষন করতঃ মজিদা খাতুন (৫০)ও তার মেয়ে কে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়া আসিতে থাকে ।
উক্ত বিষয়ে একাধিক বার পারিবারিক ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করিয়াও ব্যর্থ হয়। উক্ত বিবাদীগণ তাদের উপর চড়াও হইয়া তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দামকি দিয়া আসিতে ছিল এবং তাদেরকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উপায় চাপসৃষ্টি করিয়া আসিতে থাকে । যাহা এলাকার লোকজন অবগত আছে। তাহারা এলাকার লোকজন উক্ত বিবাদীদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করিলে তাহারা বোঝার চেষ্টা না করিয়া মরিয়া হইয়া উঠে এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করিয়া আসিতে ছিল। তারিই সুত্র ধরে গত ২৪/০২/২৫ ই তারিখে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য এঘটনা ঘটে এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম এর সাথে কথা বল্লে সে জানায় যে ব্যাপারটি আমার নলেজে আছে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিব বলে আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য কাশেম তার দলিয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সরকারের বেশ কিছু কাস জমি দখল করে বসত বিটা তৈরী করা সহ বেশ কিছু জমি প্লট আকারে বিক্রী করা সহ বনের গাছ কেটে চাষাবাদের জন্য কয়েক একর জমি দখল করে আছে এতে সরকার কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে আরো জানা যায় যে গাছ কাটা এবং জমি দখলের ব্যাপারে তার নামে বেশ কিছু মামলাও আছে।এখন প্রশ্ন হলো রাজমিস্ত্রি থেকে বিএনপির দলে পা রাখার কারনেই কি তার এত টাকা পয়সা ও ক্ষমতা বা প্রশাসনের নিরবতার উৎস জনগন জানতে চায়।