সূরা ইয়াসীনের ফযিলাত ও আমল

এক বর্ণনায় রাসুলে করীম (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেহ এ সূরা পাঠ করবে তার জন্য বেহেশতের আটটি দরজা খোলা থাকবে। সে যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
হাদীসে আছে, সূর্য উঠার সময় এ সূরা পড়লে সকল প্রকার অভাব অনটন দূরীভূত হয়ে যাবে।
এক বর্ণনায় আছে, রাতে শোয়ার পূর্বে এ সূরা পড়ে দ্বইলে নিষ্পাপ অবস্থায় ঘুম হতে জাগ্রত হবে।
হযরত আলী হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, সূরা ইয়াসীনের আমল কর। এতে দশটি ফায়দা রয়েছে। তা পাঠ করলে ক্ষুধা দূরীভূত হয় এবং বস্ত্রের ব্যবস্থা হয়, বিবাহ হতে যার দেরি হয়, সে নিয়মিত পাঠ করলে তাড়াতাড়িই তার বিবাহ হবে। ভয় এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি ইহা পাঠ করলে ভয় ও বিপদ থেকে রক্ষা পাবে। কোন ব্যক্তি কারাগারে আটকা পড়লে খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে। মুছাফির পাঠ করলে বন্ধু পাবে। এবং হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফিরে পাবে। মুমূর্ষু রোগীর পাশে পাঠ করলে সে ব্যক্তির মৃত্যু সহজতর হবে। রোগাক্রান্ত ব্যক্তির পাশে পাঠ করলে আরোগ্য লাভ করবে।
এ সূরায় কোরআনের সকল গুণের সমন্বয় সাধিত হয়, এ জন্য নবী করীম (স) এ সূরাকে কোরআন মাজীদের হৃদয় বলে আখ্যায়িত করেছেন।
একবার এ সূরা পাঠ করলে দশ খতম কোরআন শরীফ পাঠের ছওয়াব লেখা হয়। ও পাঠকের সকল গোনাহ মাপ হয়ে যাবে।
অন্য এক’ হাদীসে বর্ণনা রয়েছে যে, ভয়প্রাপ্ত ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন পাঠ করলে ভয় দূর হয়, পীড়িত ব্যক্তি পড়তে থাকলে আরোগ্য লাভ করে ও ক্ষুধার্থ ব্যক্তি পড়লে আহারে সংস্থান হয়।