আইন ও বিচারএক্সক্লুসিভ

হবিগঞ্জ শহরে স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় সাজু মিয়ার ৩ দিনের রিমান্ড

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে স্কুল ছাত্র জনি হত্যা মামলার আসামি সাজু মিয়াকে উত্তম মধ্যম দিয়েছে কতিপয় জনতা । এ সময় তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ তাকে রক্ষা করে। এ ঘটনায় কোর্ট ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে। গত বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
গত বুধবার দুপুরে জেলা কারাগার থেকে ঘাতক সাজু মিয়াকে রিমান্ড শুনানীর জন্য অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল আদালতে নেয়ার সময় একদল জনতা সাজুর ফাঁসির শ্লোগান দিয়ে এবং তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

এ সময় সাময়িক সময়ের জন্য আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হক নিশ্চিত করেন। পুলিশ হামলাকারীদের লাঠিচার্জ শুরু করে। পাশাপাশি একদল আইনজীবী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

এ সময় আদালতের দরজা-জানালা ভাংচুরের চেষ্টা করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনার ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বলছেন আদালতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। আদালতের মতো একটি স্পর্শকাতর জায়গায় কতিপয় ব্যক্তি কি করে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস দেখায় তা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে ঘরের পাশে শব্দ শুনে জনি দাশ ঘর থেকে বের হয়। এ সময় অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সে। এক পর্যায়ে ওই অপরিচিত ব্যক্তি জনি দাশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জনি দাশকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনি দাশ হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকার নর্ধন দাশের ছেলে। সে হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় সোমবার পুলিশ সাজু মিয়া নামের এক তরুণকে গ্রেফতার করে। তাঁর বাড়ি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাক গ্রামে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে সাজু দায় স্বীকার করেছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ফুটেজের মাধ্যমে তাকে সনাক্ত করা হয়েছে। সেই আলোকে সদর থানায় মামলা দেয়া হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দীন শাহীন বলেন, জনি দাশের কিছু সহপাঠী দল বেঁধে আসামির উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় হামলাকারীরা সফল হতে পারেনি। আদালত ওই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button