পাঁচমিশালি

“পতিতাবৃত্তিকে সামাজিকীকরণ কখন, কিভাবে এবং কাদের দ্বারা শুরু হয়েছিল !”

মাঝে মাঝে ভাবি যে, “পতিতাবৃত্তিকে সামাজিকীকরণ কখন, কিভাবে এবং কাদের দ্বারা শুরু হয়েছিল !”

সমাজে আমরা বিভিন্ন পেশাজীবিদেরকে দেখে আসছি ; যেমন, একজন অভিনেত্রী অভিনয় করে, একজন মডেল মডেলিং করে, একজন গায়িকা সংগীত পরিবেশন করে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

যেমন , পরীমনি নিজেকে একজন অভিনেত্রী বলে দাবি করে; তবে অভিনয় করছে না; কিন্তু কোটি কোটি টাকার সত্বাধিকারীনি! সবচেয়ে দামি গাড়ির মালিক, রাজধানীর নামিদামি ক্লাবে তার যাতায়াত। গভীর রাতে প্রেস কনফারেন্স ডেকে পুলিশ প্রধান বেনজীরের সাথে কথা বলার আবদার করে! নিতম্ব দুলিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের অর্থহীন জবাবও দেয় !

আবার, হৃদিকাও একজন মডেল; মডেলিংএ খুব একটা ভালো করছে না; কিন্তু “সুগার ড্যাডিদের (বসুন্ধরার সানভীর সোবহান) সহায়তায় বাজারের সবচেয়ে দামী পোশাক ও জুয়েলারি ক্রয় করে; সুগার ড্যাডি’র (বসুন্ধরার সানভীর সোবহান) দ্বারা পাঁচ মাসের গর্ভবতী হয়ে মিডিয়ার সামনে নানাধরণের অঙ্গভঙ্গি করে নিজ পরিবারকে আবার রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান বলে দাবি করে! হৃদিকা আবার বলে, “আমি তো টাকা পয়সা চাই না; স্রেফ সম্পর্কের মর্যাদা চাই” ! ভূমিদস্যু শাহআলমের সন্তান সানভীরের সাথে কাপড় খোলার আগেই হৃদিকা জানতো শাহআলমের সন্তানদের জীবন বৃত্তান্ত। সব জেনেশুনেও হৃদিকা যোগ দেয় পরীমনি, মমতাজ এবং মুনিয়াদের GOLD-DIGGER ক্লাবে।

প্রশ্ন হলো, সম্পর্কের মর্যাদার জন্য কোন মহিলার কি বিয়ের আগেই জনস্বীকৃত একজন চরিত্রহীন, খুনি ও নীতিহীন শুয়রের (বসুন্ধরার সানভীর সোবহান) দ্বারা পাঁচ মাসের গর্ভবতী হওয়া আবশ্যকীয় ?

আবার, লেখাপড়া না জানা জনপ্রিয় এক শিল্পী; ফাইট্টা যায় নাম খ্যাত মমতাজ। সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনেক পয়সা অর্জন করলেও, সংগীতের বাহিরে চারগুন বেশি পয়সা অর্জন করেছে। মমতাজের শখ হয়েছিল সংসদে গিয়ে পাছা দোলানো’র; সাথে থাকবে ক্ষমতা ও কৃত্রিম মর্যাদার। যে সংসদে দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হয়; সে সংসদকেও মমতাজ বাঈজীখানা বানিয়ে ছেড়েছিলো স্বৈরাচারের বদৌলতে!

আবার, অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের এক সুন্দরী যুবতীকে বিছানায় নিতে জনস্বীকৃত একজন চরিত্রহীন, খুনি, লম্পট ও নীতিহীন শুয়রকে (বসুন্ধরার আনভীর সোবহান) প্রেমের অভিনয়ওটুকু পর্যন্ত করতে হয়নি। মুনিয়া নামের যুবতীকে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়ার সাথে সাথেই রাজি হয়ে যায়। মুনিয়া’র উদ্দেশ্য কি ছিল? সম্পর্কের মর্যাদা? নাকি কিছু পাওয়া ? মুনিয়া যেদিন বসুন্ধরার আনভীরের ডাকে সাড়া দিয়ে বিছানায় গিয়েছিলো, মুনিয়া সেদিনই জানতো যে আনভীরের সাথে তার সামাজিক, অর্থনৈতিক বা পারিবারিক, কোনভাবেই যায় না। মুনিয়া’র বোন এবং পরিবারও সেটা জানতো। কিন্তু, মুনিয়া ও মুনিয়া’র পরিবারের লোভ মুনিয়া’কে বাধ্য করেছে একটা লম্পট, দুঃশ্চরিত্র, বদমাশ ও খুনী’র (বসুন্ধরার আনভীর সোবহান) সাথে বিছানায় যেতে।

GOLD-DIGGER ক্লাবের নতুন সংযোজন নীলা ইস্রাফিল নামের এক BIMBO ! দু’কলম ইংরেজী শিখে ধরাকে সরা ভেবে বসলো। PARANOIA ‘র ও সীমা রয়েছে। কিন্তু সভ্যতা বিধ্বংসী এই ইস্রাফিল ক্বিয়ামত আসার পূর্বেই শিঙ্গা বাজানো শুরু করেছে। তার এই মস্তিষ্কবিকৃতি থেকে পিতৃতুল্য শশুর, সহপাঠী বা সহকর্মী, কেউই বাদ যায়নি। তার অস্ত্র হলো দু’লাইন ইংরেজী জানা একটি মুখ। ইস্রাফিলের সিঙ্গায় ইতিমধ্যেই শশুর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে ! এনসিপি’র তুষারকে পৌঁছে দিয়েছিল আত্মহত্যার কাছাকাছি ! এনসিপিকে ডোবানোর জন্য GOLD-DIGGER ক্লাবের অন্য সদস্য রুমীন ফারহানাও আবার মুখ খুলেছে।

কি দিয়ে যেন শুরু করেছিলাম ? পতিতাবৃত্তিকে সামাজিকীকরণ ! পাশ্চাত্যে GOLD-DIGGER ক্লাবের স্বীকৃতি ও পরিচিতি রয়েছে। তা থাকলেও সমাজ তাঁদেরকে নেতিবাচকভাবেই দেখে। কিন্তু আমাদের দেশের তথা সমাজের এসব আবর্জণারা কি জানে যে GOLD-DIGGERদের স্রেফ একটিই পরিচয়; আর তা হলো পতিতা !! আর পতিতাবৃত্তিকে যদি তারা সম্মানিত পেশা হিসেবে দেখে তবে পৃথিবী থেকে সভ্যতা বিলুপ্তির দ্বারগোড়ায় পৌঁছে গেছে সম্ভবতঃ !

জ্যাকব মিল্টন এর ফেইসবুক থেকে নেয়া

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button