ডিজিটাল প্রতারক মিনহাজ মাহমুদ সেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ ডিজিটাল প্রতারক মিনহাজ মাহমুদ সেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতারক গাজীপুরে অস্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে চৌরাস্তায় অফিস নিয়ে চাঁদাবাজির আখড়া গড়ে তুলেন। নিজেকে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা দাবী করলেও ঠিকমত নিউজ লিখতে জানে না। অপরদিকে নারী লোভীতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন ইতিমধ্যে, নারী ছাড়া যেন তার কোন কাজই চলেনা।
তার অফিস মানে নারীদের আড্ডা, তার গার্ডম্যান হিসেবে সব সময়ই নারী থাকেন। নারীদেরকে লোভনীয় মোটা অংকের টাকার অফার দিয়ে ছলচাতুরি করে নিয়োগ দিয়ে মাসের পর মাস বেতন না দিয়ে বিভিন্ন প্রতারণা করে ও টাকা আটকে রাখে। ব্ল্যাক মেইল করে উল্টো ওইসব নারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে টাকা হাতিয়ে নেয়, ভুক্তভোগী নারীদের এমনই বক্তব্য। নিয়োগ দেওয়া নারীদের সাথে লুচ্চামি ও লোভনীয় অফার দিয়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। একইভাবে বহিরাগত অনেক নারীদের সাথেও সম্পর্ক করে আসছেন, এসব নারীরা নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে মুখ খুলছেন না।
তার লেবাস, পোশাক, কথাবার্তা দেখলে যে কেউ বুঝবে এর মত ভদ্র মানুষ পৃথিবীতে নেই। কথায় কথায় আল্লাহ পাকের নাম, যখন তখন চোখ থেকে ঝরঝর করে পানি ফেলা। কসম কেটে কথা বলে অল্পের ভিতরেই যে কোন পার্টি বা ক্যালাইনকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে মোটা অংকের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া তার জন্য কোন ব্যাপারই নয়।
এই প্রতারক মিনহাজ মাহমুদ জৈনক এক ব্যক্তির মাধ্যমে জনপ্রিয় ও জাতীয় “অপরাধ বিচিত্রা” পত্রিকার সম্পাদক এস এম মোরশেদ সাহেবের কাছ থেকে অনুনয় বিনয় করে একটি কার্ড নেন। পাশাপাশি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর গাজীপুর সভাপতির দায়িত্বও নেন। দায়িত্ব নেওয়ার আনুমান এক বছরের ভিতরেই তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও ধান্দাবাজির অভিযোগ তোলেন বিভিন্ন সদস্য এবং এলাকাবাসীরা। প্রতারক গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেন। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি সু-স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় এবং প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা সম্পাদক ও চেয়ারম্যানের বরাবর বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে ভিত্তিতে এই প্রতারক মিনহাজ মাহমুদকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন এস এম মোরশেদ।
তার অভিযোগের ফিরিস্তি কিছু অংশ তুলে ধরা হলো: মো: উসমান গনি মোল্লার থেকে ২০২৪ ইন সালে টাকা উদ্ধার ও জমি বন্দোবস্ত করার নামে নগত ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন। মো: কামরুজ্জামান থেকে লাইসেন্স করে দেবে বলে, নগদ ২০ হাজার টাকা ও জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনে দায়িত্ব দিলে বলে ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে দিয়েছেন। মো: মিনহাজুল বিদেশে যাওয়ার জন্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণার শিকার হন, ওই প্রতারক থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য বিশিষ্ট প্রতারক মিনহাজ মাহমুদ- উদ্ধার করার নামে ৫১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
মো: সোহাগ মিয়া ও তার বোনের কাছ থেকে ১ লক্ষ্য ২০ হাজার টাকা নেয়। মুফতি মাহাদী হাসান মাসুম থেকে গাজিপুর মহানগর দায়িত্ব দিবে বলে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন, তার কাছে না থাকায় ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। মুশফিকুর রহমান শাকিলকে সাধারণ সম্পাদকের পদ দায়িত্ব দিবে বলে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন, তার সাথে দরকষাকষিতে এক পর্যায়ে বলেছেন ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে, প্রথম অবস্থায় তাকে ৬৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করি।
এছাড়াও আরো অসংখ্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। নিউজ চলবে….



