সরকারী কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে অফিস কক্ষে ঘুম!!!

ফেনী স্টেশনের রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে দায়িত্বে থাকা এফ এ পি গ্রেড -৩ আশিকুর রহমান সরকারী কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে অফিস কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ার কিছু ছবির চিত্র অপরাধ বিচিত্রার প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে।
ছবি গুলো সম্প্রতি ক্যামেরা বন্দি করা হয়।
(আশিক হলো রেলওয়ের সাবেক এডিজি আর এস ফারুক আহমেদ এর আপন ভাগিনা) ২০১৫ সাল হতে ফেনী- মূহুরীগন্জ স্টেশন পর্যন্ত তিনি কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
বিদ্যুৎ হলো একটি জরুরী বিভাগ । দায়িত্ব অবহেলা এবং ঘুমের কারণে একটি সাব স্টেশনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
গত ২০ জুলাই অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশিত পদোন্নতি পেতে সুফিয়ানের দৌড় ঝাঁপ,নেপথ্যে প্রকৌশলী শেখ ফরিদ!! শীর্ষক নিউজটি ।এতে এফ এ পি গ্রেড -৩ আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপক তথ্য নিউজে প্রকাশিত হয় ।
নিউজে উল্লেখ করা হয় ফেনী আল আমিন ফাষ্ট ফুড এর নামে কোন বিদ্যুৎ বিল করা হয় না। বিদ্যুৎ মিটারটি অচল। এছাড়াও ফেনীর ২ টা পরিত্যক্ত কোয়াটার ও ৩ টা কোয়াটারে স্টেশনের ক্যান্টিন ও বেশকিছু মিটার বাইপাস করা আছে। তাছাড়াও স্টেশনের বাহিরে ৩ টা দোকানে লাইন আছে। ফেনী স্টেশনের টাকা উত্তোলন করে এফ এ পি গ্রেড -৩ আশিকুর রহমান।
ফাজিলপুর স্টেশনে টাকা উত্তোলন করে সুফিয়ান ও ফেনী স্টেশনের দায়িত্বে থাকা এফ এ পি গ্রেড -৩ আশিকুর রহমান। (আশিক হলো রেলওয়ের সাবেক এডিজি আর এস ফারুক আহমেদ এর আপন ভাগিনা) ফেনী- মূহুরীগন্জ স্টেশন পর্যন্ত টাকা উঠে ৪২,০০০ টাকা। এর মধ্যে সুফিয়ান ও আশিক নেয় ২৫,০০০ বাকী ১৭০০০ পায় কিশোর বাবু।
অফিসে ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমালে সরকারি চাকরিজীবীর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। এই ধরনের কাজের জন্য চাকরিবিধি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, যেমন- তিরস্কার, বেতন কর্তন, পদাবনতি, বা গুরুতর ক্ষেত্রে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হতে পারে।
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালায়, কর্মকর্তাদের কর্মঘন্টার মধ্যে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। তাই, অফিসে ঘুমানো বা কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করা ইত্যাদি নিয়মভঙ্গ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
যদি কোনো কর্মচারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকেন বা ঘুমানোর কারণে তার কাজ ব্যাহত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে, প্রথমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হতে পারে এবং সন্তোষজনক জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। শাস্তির মাত্রা নির্ভর করে কর্মচারীর কাজের গুরুত্ব, কাজের প্রতি অবহেলা এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর।
যদি কোনো সরকারি কর্মচারী অফিসে ঘুমানোর কারণে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, তবে তার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো নেয়া যেতে পারে:
তিরস্কার (Warning): এটি একটি লঘু ধরণের শাস্তি।
বেতন কর্তন (Deduction of salary): কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতন থেকে কিছু অংশ কেটে নেয়া হতে পারে।
পদাবনতি (Demotion): কর্মীর পদমর্যাদা কমিয়ে দেয়া হতে পারে।
চাকরি থেকে বরখাস্ত (Dismissal from service): গুরুতর ক্ষেত্রে, কর্মীকে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে।
অতএব, সরকারি চাকরিজীবীদের উচিত তাদের কর্মঘন্টা যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং কর্তৃপক্ষের নিয়মকানুন মেনে চলা।



