অপরাধদুর্নীতি

ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলে ‘দালাল ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ এসিল্যান্ড বাসিত সাত্রার গং বিরুদ্ধে!!!

প্রথম পর্বে ক্যান্টনমেন্ট সার্কেলের এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার এবং ক্যাশিয়ার সলিমুল্লাহ হাওলাদারের নেতৃত্বে পরিচালিত দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এবার উঠে এসেছে ভয়ংকর কিছু গোপন তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ, যা প্রমাণ করে—এই অফিস এখন সাধারণ জনগণের নয়, বরং একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের দখলে।

◾ গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অর্থ লেনদেন

প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি ৪০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক ভুক্তভোগী নামজারির জন্য অপেক্ষা করছেন। অফিস কর্মীরা তাকে ঘুষ ছাড়া “সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়” বলে জানায়। এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার ফোনে “তাড়াতাড়ি মিটমাট করার” নির্দেশ দেন।

◾ নামজারি প্রক্রিয়ায় ‘দালাল ছাড়া ঢুকতে মানা’

সরাসরি সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের মুখে শোনা যায় একই কথা—দালাল ছাড়া ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল অফিসে কোনো ফাইল নড়ে না। কিছু দালালের নাম জানা গেছে যারা অফিসের ভেতরে অবাধে চলাফেরা করে এবং তাদের মাধ্যমেই হয় দর কষাকষি।

◾ অফিস নয়, যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি!

প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর অফিসের প্রধান গেটে তালা ঝুলে। অথচ ভেতরে চলে বসুন্ধরা, আসিয়ান সিটি, যমুনা গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক। সরকারি অফিসকে প্রাইভেট অফিসে পরিণত করেছেন এসিল্যান্ড সাত্তার, এমন মন্তব্য করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

◾ তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র

প্রতিবেদকের হাতে থাকা ভিডিও ও অডিও ফুটেজগুলোতে উঠে এসেছে:

ঘুষ লেনদেনের সময় হাতে টাকাগুলো গণনা।

ফাইল হাতে নিয়ে “ঘুষের অংক ঠিক হলে আগামীকাল হবে” বলা।

কিছু কর্মকর্তার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ।

◾ রাজনৈতিক পরিচয়ে ক্ষমতার দাপট

এসিল্যান্ড বাসিত সাত্তার নিজের পরিচয় দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাসের আত্মীয় হিসেবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি চাইলে সমস্যা না থাকলেও সমস্যা তৈরি করতে পারি। টিভি মিডিয়া আমার হাতে।”

◾ কার্যালয়ের কিছু কর্মচারীও দালাল সিন্ডিকেটের সদস্য!

সলিমুল্লাহ হাওলাদারের নেতৃত্বে কিছু কর্মকর্তা এখন সিন্ডিকেটের অংশ। অভিযোগ উঠেছে, তারা দালালদের দিয়ে নিজেরাই ফাইল প্রক্রিয়া করিয়ে ঘুষের ভাগ নেন।


🔴 চিহ্নিত দুর্নীতির ধরনগুলো:

নামজারিতে অর্থ ছাড়া কোনো ফাইল গৃহীত হয় না

সরকারি সময়ে অফিস তালা দিয়ে গোপন বৈঠক

সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া

রাজনৈতিক পরিচয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন

দালাল ছাড়া অফিসে প্রবেশ নিষেধ

ভুক্তভোগীদের দাবি
“ঘুষ না দিলে নামজারি আটকে যায়, ঠিক কাগজ থাকলেও হাজারো অজুহাত দিয়ে ফাইল বাতিল করে দেয়।”

ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল ভূমি অফিস এক ভয়ঙ্কর ‘সিস্টেমেটিক দুর্নীতির ফাঁদে’ আটকে আছে। ঘুষ, অনিয়ম, ভয়ভীতি, মিডিয়া দমন—সব মিলিয়ে এ যেন এক অদৃশ্য অপরাধ সাম্রাজ্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button