গঙ্গচড়ার খিলালগঞ্জে হিন্দু পাড়ায় মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে বাড়ি ভাংচুর,লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাম জোট

আহসানুল আরেফিন তিতুঃ
গতকাল ২৯ জুলাই ২০২৫ সোমবার সকাল ১১ টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুর জেলার নেতৃবৃন্দ মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে গঙ্গাচড়ার খিলালগঞ্জের হিন্দুপাড়ায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর সাথে মত বিনিময় করার উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকায় যান। বামজোট রংপুর জেলার সমন্বয়ক,বাসদ(মার্কসবাদী),রংপুর জেলার আহ্বায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে উক্ত টিমে উপস্থিত ছিলেন জোটের সদস্য ও বাসদ,রংপুর জেলার আহ্বায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, কমিউনিস্ট পার্টি রংপুর জেলার সদস্য মফিজাল ইসলাম, বিপুল চন্দ্র, বাসদ,রংপুর জেলার সদস্যসচিব মমিনুল ইসলাম,বাংলাদেশ জাসদ,রংপুর জেলার সভাপতি শাহীনুর রহমান বাদল,বাসদ(মার্কসবাদী), রংপুর জেলার সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, গঙ্গাচড়া উপজেলার আহ্বায়ক মুকুল চন্দ্র রায় প্রমূখ।এলাকাবাসীর সাথে কথপোকথনে জানা যায় ২৭ তারিখ থেকে মাইকিং করে এবং বিভিন্নভাবে হিন্দুপাড়ায় হামলার ঘোষণা দিয়ে আসছিলো দুবৃত্তরা।এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বার বার প্রশাসনকে জানালেও প্রশাসন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি এবং এলাকাবাসীকে অভয় দিয়েছেন যে, কিছু হবেনা।কিন্তু ২৮ জুলাই ঘটনার সময় দেখা গেল শত শত সশস্ত্র দুবৃত্তের বিপরীতে মাত্র ২৫/৩০ জন পুলিশ।হামলাকারীরা পুলিশের সামনেই নির্বিঘ্নে বাড়িঘর ভেঙ্গে দিলো,গরু,ছাগল,চাল,ডাল টিভি,ফ্যান,ফার্নিচার,নগদ টাকা,গহনা লুটপাট করে নিয়ে গেলো।বাড়ির রান্নার চুলা,বিগ্রহ,পূজার স্থান,ধর্মীয় বই পুস্তক সবই ধ্বংস করেছে দুবৃত্তরা।এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানতে চায়, পূর্বাহ্নেই সবকিছু জানার পরও কেন পর্যাপ্ত পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি।
নেতৃবৃন্দ বলেন এই হামলার দায় সরকারকেই নিতে হবে।ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ক্ষতির সমপরিমান ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।এবং মব সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারী,হামলা লুটপাটে অংশগ্রহণকারী সকল দুবৃত্তদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশদের বিষয়েও তদন্ত করে এর কারণ খুঁজে বের করে দোষীদের বিচার করতে হবে।



