বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীর দোয়া মাহফিলে ডা. শাহাদাত হোসেন

এম এ মান্নানঃ
আন্দোলন সংগ্রামে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাবিবুর রহমান
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সদরঘাট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মরহুম হাবিবুর রহমান ছিলেন মাঠের রাজনীতিবিদ ও পর্যায়ক্রমে ওঠে আসা নেতা। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আওয়ামীলীগ শাসন আমলে শেখ হাসিনার বিপক্ষে রাজনীতি করা কঠিন ছিল। কিন্তু সেখানেও হাবিব ভাইসহ আমরা একসাথে মাঠে থেকে দুঃসাহসের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসলে দুঃসাহসের সঙ্গে রাজনীতি করতে হয়। এই দুঃসাহস আমরা সবাই মিলে দেখিয়ে দিয়েছি। সেটা পরবর্তীতে অব্যাহত থেকে গত আগস্টে পতন হয়েছে।
তিনি শুক্রবার (১ আগষ্ট) বিকেলে নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ী নছু মালুম মসজিদে সদরঘাট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি মরহুম হাবিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতি চারণ করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। দোয়া মাহফিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকো, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও সম্প্রতি বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।
হাবিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের প্রশংসা করে ডা. শাহাদাত বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে গভীরভাবে আস্থাশীল হাবিবুর রহমান বিএনপিকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭১-এর রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরোচিত ভূমিকার জন্য তিনি চট্টগ্রামবাসীর নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমানদের মেধা, শ্রম, ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি আজকে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের অবৈধ শাসনামলে তিনি কঠিন সময়ে রাজনীতি করেছেন। বর্তমান সময়ে হাবিব ভাইয়ের মতো অবিভাবকের খুবই প্রয়োজন ছিল।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, মো. কামরুল ইসলাম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মহানগর বিএনপি নেতা মো. আলী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, সরদঘাট থানা বিএনপির সাবেক সি. সহ সভাপতি খোরশেদ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন বাবু, মহানগর মহিলাদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আরজুন্নাহার মান্না, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আজিজুল ইসলাম বাদল, সদস্য সচিব তসলিমুর রহমান, সি. যুগ্ম আহবায়ক হাজী আমির আহাম্মদ, ২৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ইলিয়াস মিয়া, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, সদস্য সচিব মো. শাহজাহান,
মরহুম হাবিবুর রহমানের সন্তান মো. সাঈদুর রহমান ও মো. আসিফুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মুকুল আহাম্মদ, মো. মানিক, মো. জাহেদ, রেজুয়ান আলম, মো. হাসান, মো. বাবুল, নাছির উদ্দীন, জামশেদ হায়দার, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কমল জ্যোতি বড়ুয়া, সদরঘাট থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নূর খান, সাবেক সদস্য সচিব মো. রাশেদ, সদরঘাট থানা যুবদল নেতা আবু তালেব লিটন, হাফিজ উদ্দিন সুমন, ইব্রাহিম খলিল, দেলোয়ার হোসেন জুনুক, নাজিম উদ্দিন, সদরঘাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো. সাগর, ইব্রাহিম খলিল, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মো. নূরু, সদরঘাট থানা ছাত্রদল নেতা রিদুয়ান আলম, সদরঘাট থানা কৃষক দল আহ্বায়ক সুমন, সদস্য সচিব মো. জুয়েল, ৩০ নং ওয়ার্ড কৃষকদল নেতা নোমান, সদরঘাট থানা শ্রমিকদল নেতা মো. আক্তার, বিএনপি নেতা নিয়ামত উল্লাহ তোহিদ, জাকির হোসেন, মো. সুজা, মো. বাদশা, মো. জাহেদ, মো. নেজাম, মো. হারুন, মো. মহসিন প্রমূখ।



