অব্যাবস্থাপনাশিক্ষা

কুমিল্লায় দুটি বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ, অ্যাসেম্বলি ও খেলাধুলা বন্ধ

আহসানুজ্জামান (কুমিল্লা) দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণপাড়ার নন্দীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এখন পানির রাজত্ব। যেখানে শিশুদের খেলাধুল কোলাহল থাকার কথা, সেখানে আজ সাঁতার কাটছে স্থানীয় কৃষকদের হাঁস। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিদ্যালয়সংলগ্ন জলাশয়ের পানি বেড়ে গিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েছে। 

এতে স্কুলের শিক্ষার্থীদে নিয়মিত ক্লাসে যাতায়াত ও স্কুল প্রাঙ্গণে চলাচল চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অপর দিকে বুড়িচং উপজেলার সদ ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্নতা ঘটছে। বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি পুকুর রয়েছে- এই পুকুরের মালিকরা পাড় ন বাঁধার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মূল মাঠ পরিণত হয়েে ছোট পুকুরে। 

মাঠজুড়ে হাঁসের দল পানিতে সাঁতার কাটছে। শ্রেণিকক্ষ গুলোতে চলছে পাঠদান, তবে মাঠের এমন চিে শিক্ষার্থীরা যেন বন্দি জীবনযাপন করছে। বিদ্যালয় চত্বরে পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ঝুঁকির মধ্যেও রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এন মানসিক বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষ কামরুন নাহার নিপা বলেন, “শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ ও বের হতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ভোগান্তি হচ্ছে। 

ভবনের দেয়াল ঘেঁে উঁচু জায়গা ধরে কোন ভাবে চলাফেরা করতে হয়। মাঠে পানি থাকায় নিয়মিত অ্যাসেম্বলি বন্ধ। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না।” প্রধান শিক্ষক রেনু রানী বলেন, “১৯৯২ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮৩ জন শিক্ষার্থী ও জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। প্রতিবছর বর্ষায় মাঠ পানিতে ডুবে যায়, এতে পাঠদানে বাধা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আম-জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

” দক্ষিন হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোসাঃ জোসনা আক্তার বলেন, পাশের পুকুরের কারণে বিদ্যালয়ে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মাঠে মাটি ভরাট করার জন্য আবেদন করেছি এবং নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি বুড়িচং উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফওজিয়া আক্তার বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে উধ্বর্তন কতৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভিন বলেন, “বিদ্যালয়টি নিয়ে আম-ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও মাহমুদা জাহান বলেন, “বিষয়টি আমি আপনাদের কাছ থেকে জেনেছি। আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করব এন সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button