মানববন্ধন

মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

মুজিব: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও জলদস্যুতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নৌপথে চলাচলকারী ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীতে সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। অভিযুক্তদের মধ্যে মির্জাচরের নুরুল ইসলাম, বাঁশগাড়ির হারুন এবং নিলখ্যার হান্নানের নাম বিশেষভাবে উঠে এসেছে। বক্তারা বলেন, এই চক্রটি স্পিডবোট ও ট্রলার ব্যবহার করে গরু ব্যবসায়ী এবং মুদি ব্যবসায়ীদের মালামাল লুট, অস্ত্রের মুখে চাঁদাবাজি এমনকি সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানোর মতো ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

নদীতে চলাচলকারী কার্গো ও ট্রলার থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের পাশাপাশি চরাঞ্চলে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনেরও অভিযোগ রয়েছে এই চক্রের বিরুদ্ধে, যা নিয়ে আগেও একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে।

এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল ফেসবুকে লিখেছেন, “এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকনও একই সুরে বলেন, “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানাচ্ছি। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিএনপিতে কোনো স্থান নেই।”

স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এর আগেও মির্জাচর এলাকায় একটি মানববন্ধনে গুলি বর্ষণ এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় দায়ের করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এলাকাবাসী এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটি নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button