অর্থাভাবে জীবন প্রদীপ নিভতে শুরু করেছে মেধাবী ছাত্র আল আমিনের। সে ঝালকাঠির রাজাপুরের আলগী গ্রামের হতদরিদ্র মো. হাবিবুর রহমান শিকদারের ছেলে। বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান জানান, তার ০৫ ছেলে মেয়ের মধ্যে আল আমিন সবার বড়। এদের মধ্যে ছেলে ও মেয়ে প্রতিবন্ধি। গ্রাম থেকে কলা,কচু, সাক, মাছ সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে অতি কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। আল-আমিন এই বছর সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম শ্রেনিতে উত্তির্ন হয়েছে। সে টিউশনি করে সংসারে অর্থের যোগান দিত এবং ভাই-বোনের লেখা পড়ার খরচ বহন করতো। ২০১৬ সালে অসুস্থ্য হলে পর্যায়ক্রমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল- বরিশাল, ঢাকা ইবনে সিনা হাসপাতাল এবং খুলনা আড়াইশো বেডে চিকিৎসা শেষে আল-আমিন (২২) এর দুটি কিডনিই নষ্ট হওয়ায় বর্তমানে ঢাকায় কিডনি ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের বিছানায় অর্থের অভাবে জীবনের শেষ প্রহর গুনছে। চিকিৎসকরা জানান, আল-আমিনের একটি কিডনি সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে গেছে এবং অপরটি নষ্ট হতে শুরু করেছে। তাকে মাদরাজ নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু হাবিবুর রহমান আরো বলেন, এতো দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছেন। তার এখন গ্রামের ১২ শতাংশ ফসলি জমি ছাড়া আর কোন সম্বল নেই। তাই মাদরাজ যেতে না পেরে ঢাকায় কিডনি ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনিষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
কিডনি ফাউন্ডেশন হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনিষ্টিটিউটের ডাক্তার মো. সাকিব উজ্জামান বলেন, তার শরীরে কিডনি স্থাপন করতে ডোনারের কাছ থেকে কিডনি পেলে টাকার প্রয়োজন পাঁচ লক্ষ এবং ক্রয় করে স্থাপনে টাকার প্রয়োজন ১৪ লক্ষ।
সাহায্য পাঠানোর জন্য মো. আল-আমিনের বিকাশ মোবাইল নাম্বার- ০১৭৩৯৮১৫৪৫৫। চলতি ব্যাংক হিসাব নং-৫৩৬, ইসলামী ব্যাংক, রাজাপুর উপজেলা শাখা, ঝালকাঠি।