আইএফসি’র অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে গ্রীন ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হচ্ছে তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন

0
374

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরী পোশাক রপ্তানির জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের তৈরী পোশাক কারখানা গুলোকে গ্রীণ ফ্যাক্টরিতে রুপান্তর করা হচ্ছে। বেশকিছু কারখানা ইতোমধ্যে গ্রীন ফ্যাক্টরিতে রুপান্তর করা হয়েছে। গ্রীণ ফ্যাক্টরি নির্মানের জন্য সরকার ব্যবসায়ীদেও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্র্রে ট্যাক্স ৩৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ১০ ভাগ নির্ধাণ করা হয়েছে। দেশে মোট ২০৮টি তৈরী পোশাক কারাখানাকে  পর্যায়ক্রমে গ্রীণ ফ্যাক্টরী করা হচ্ছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের সকল তৈরী পাশোক কালখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। নিরাপদ বিল্ডিং ও ফাযার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে তৈরী পোশাক কারখানা গুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। দেশে একেরপর এক গ্রীন ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হচ্ছে কিন্তু ক্রেতারা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে না। তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ক্রেতাদের এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করা উচিৎ। শ্রমিকদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা ও উপযুক্ত বেতন নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ(৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্ল-ুতে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন(আইএফসি) আয়োজিত টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল টেক্সটাইল শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ গত অর্থ বছর প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পন্য এবং ৩ বিলিযন মার্কিন ডলার মূল্যের সেবা রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে তৈরী পোশাক রপ্তানি করে।  এ শিল্পে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে এর ৮০ ভাগই নারী। কারখানার শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও উপযুক্ত বেতন ও ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে স্থায়ী ও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল(প্যাক্টে)এর মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। প্রথম ফেজে দেশের ২শ’ র বেশি তৈরী পোশাক কারখানায় প্রতি বছর ২১.৬ বিলিয়ন লিটার পানি এবং ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত বাচাতে সহায়তা করেছে। দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহায়তায় স্পিনিং থেকে শুরু করে উৎপাদনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত টেক্সটাইল ভেল্যূ চেইনের সাথে কাজ করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, সে সময় মায়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। বাংলাদেশ আশা করছে যত দ্রুসম্ভব মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের যথাযথ মর্জাদা দিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় প্রদান করেছিল। বাংলাদেশ একান্ত মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের সাময়িক ভাবে আশ্রয় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সিদ্ধান্তকে বিশ^বাসী প্রশংসা করছে। ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশন-এর কান্ট্রি ম্যানেজার মিসেস ওয়েন্ডি ওয়েরনার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মো. সিিিদ্দকুর রহমান এবং আইএফসির উচ্চপদস্থ র্কমকর্তাবৃন্দ। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ে সহায়তার জন্য পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল(প্যাক্টে) এবং বিজিএমই এর মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here