ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এম.পি. বলেছেন, কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের কৃষিক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে দাড়াতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ভিশন-২০২১ এর পথে অনেকদুর এগিয়ে চলেছি।
আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কেআইবি অডিটোরিয়ামে সিনিয়র কৃষিবিদ সম্মিলন-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ভূমি মন্ত্রী শরীফ বলেন, যেদেশে একসময় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের খাবার জোগার করা সম্ভব হতো না, সেইদেশেই এখন সাড়ে ষোল কোটি মানুষের অন্ন জুটছে। কেউই এখন না খেয়ে থাকে না। মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই দিকেই এগুচ্ছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, জমিতে কৃষকের পদ”িহ্নই হলো জমির সার। কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের কাছ থেকে কৃষকরা পরমার্শ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। এদেশের জমি আগেও উর্বর ছিল, এখনও আছে। বাংলার কৃষক ও শিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানীদের কল্যাণে আল্লাহর রহমতে বাংলার এ জমিতেই এখন বাম্পার ফলন হচ্ছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ২১ দফায় জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২১ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন। জাল যার জলা তার ঘোষণা এবং কৃষিক্ষেত্রে যুগান্তকারী বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ আমাদের অনুপ্রেরণা এবং ২০৪১ হবে আমাদের স্বপ্ন, আর তা বাস্তবায়ন ঘটবে নতুনদের কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে।
কৃষিবিদ লিয়াকত আলী জুয়েল এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে কৃষিবিদ ড. মির্জা এ জলিল, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সভাপতি এ.এম. সালেহ, মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, কৃষিবিদ আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন, কৃষিবিদ এ.এম. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন এর সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. তাসদিকুর রহমান সনেট, কৃষিবিদ আমিরুল ইসলাম, ড. শহীদুল ইসলাম, ড. ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।