আগামীকাল রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক সানফ্লাওয়ার-এর ১০১তম পর্ব। মেজবাউর রহমানের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন নজরুল ইসলাম। শুরু থেকেই নাটকটিতে অভিনয় করছেন অপূর্ব। কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
‘সানফ্লাওয়ার’ নাটকটির ১০০ পর্ব পার হলো। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সত্যি কথা বলতে কী, কোন নাটকের সাড়া কেমন, সেটা বোঝা যায় ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে গেলে। তখন অনেক মানুষ নাটকের নাম ও চরিত্রের নামে ডাকেন। সানফ্লাওয়ার থেকেও সে রকম সাড়া পাই। এটা একটা পারিবারিক গল্প। নানা ধরনের উত্থান-পতন আছে। নাটকটিতে অভিনয় করে ভালো লাগছে। সবাই প্রশংসা করছেন। তা ছাড়া আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, সবাই জনপ্রিয়। এই নাটকটির শুটিং শুরু হয়েছিল দিনাজপুর থেকে।
শুটিং করতে নাকি দেশের বাইরে যাচ্ছেন?
সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার (আগামীকাল) নেপালে যাচ্ছি। সেখানে পাঁচটি একক নাটকে অভিনয় করার পরিকল্পনা আছে। এখন দেখা যাক। এর মধ্যে একটা নাটকের গল্পের কনসেপ্ট আমি দিয়েছি। সেটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আট-নয় দিন সেখানে থাকব হয়তো।
দেশের বাইরে শুটিংয়ের কারণ কী? গল্পের প্রয়োজনে, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে?
মূলত গল্পের কারণেই যাওয়া হয়। যেমন এখানে তো এখন গরম। তাই আউটডোরে শুটিং করা কঠিন। কিন্তু আমরা নেপালে যেখানে যাচ্ছি, সেখানে বেশ ঠান্ডা। শুটিং করে আরাম পাওয়া যাবে। আর একটা ঘটনা হলো, দেশের বাইরে সব অভিনয়শিল্পী একসঙ্গে থাকেন, তাই শুটিংটা দ্রুত শুরু করা যায় এবং নিয়মের মধ্যে সবকিছু চলে। আর একটা ব্যাপার হলো, শুধু ভালো চিত্রনাট্য হলেই বাইরে যাওয়া হয়। না হলে কেন যাব? এখন তো কক্সবাজারে যে খরচ হয়, তার চেয়ে বরং নেপাল বা পার্শ্ববর্তী দেশের খরচ তুলনামূলক কম হয়। আর দৃশ্য ধারণের জন্য জায়গার বাড়তি সৌন্দর্য তো পাওয়া যায়ই।
কষ্টও নাকি হয়?
তা তো খানিকটা হয়ই। যখন এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে শুটিং হয়, তখন যাতায়াত এবং ওঠানামায় বেশ পরিশ্রম হয়। নিজেদের ছোটখাটো কাজ নিজেদেরই করতে হয়।
‘বড় ছেলে’-এর ইফেক্ট তো এখনো আছে বোধ হয়?
এটা আসলে দারুণ একটা ব্যাপার। এখন অনেক মানুষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কদিন আগে নাটকটার ইউটিউব ভিউ এক কোটি ছাড়িয়েছে। মানুষ দেখছেন বলেই এমনটা হয়েছে। একটা সত্যি কথা বলি আজ, আমরা যখন শুটিং করি, তখন আমরা চিন্তা করিনি নাটকটা সবাই এত পছন্দ করবেন।