উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক গ্রামে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে গনধর্ষনের স্বীকার হয়েছে এক যুবতী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্টো এলাকাবাসী ধর্ষিতাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনা জানতে পেরে থানা পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে এবং এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষিতা জানায় আগৈড়ঝাড়া উপজেলার রতœপুর গ্রামের আব্দুল হক ফকিরের লম্পট ছেলে সাঈদ ফকির(২৫) এর সাথে ৬ মাস পূর্বে থেকে মোবাইল ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার মহাখালা গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের মেয়ে(২২)। গত ৯ আগষ্ট সকালে ঐ যুবতী প্রেমিক সাঈদ ফকিরের সাথে দেখা করতে আসে। সাঈদ প্রেমিকাকে নিয়ে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে এবং রাত হলে বন্ধু উজিরপুর উপজেলার শোলক গ্রামের লস্কর সরদারের ছেলে ইব্রাহিমের বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে রতœপুর গ্রামের সাঈদ ফকির(২৫), একই গ্রামের মৃত মাজেদ আলি ফকিরের ছেলে শাহিন ফকির(২৫), শোলক গ্রামের লস্কর সরদারের ছেলে ইব্রাহিম সরদার(২২), মাষ্টার বসন্ত কুমার দাসের ছেলে সঞ্জিত দাস(২৬), সোবাহান সরদারের ছেলে বিল্লাল হাওলাদার(২১) মিলে ঐদিন রাতে শোলক গ্রামের বড়ইতলা পাইকতা পাড়া মোস্তফা সরদারের পানের বরজে টোং ঘরে নিয়ে একের পর এক পালাক্রমে ৫জন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা এলাকার লোকজন টের পেয়ে মেয়েসহ শাহীন ফকিরকে আটক করে মারধর করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। উজিরপুর মডেল থানার এস.আই জসিম হাওলাদার ধর্ষক শাহিন ও ধর্ষিতাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে দিনভর বিভিন্ন রফাদফা করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেলা ২টায় দু’জনকেই ছেড়ে দেয়। অবশেষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুনরায় ধর্ষক শাহিন ও ধর্ষিতাকে গ্রেফতার করে ব্যাভিচার মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
উজিরপুরে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে গণধর্ষণের স্বীকার এক যুবতী ধর্ষিতাসহ ২ জন জেল হাজতে
Advertisement
Advertisement