একের পর এক রায় দিয়ে জাতিকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতিকে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা বলেছেন। তিনি ভুলে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তানে গিয়ে ছিলেন। এমন কি আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজে আমন্ত্রণ পত্র দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে বাংলাদেশে এনে ছিলেন। আমরা কি তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিব ?
তিনি আরো বলেন-দোষারোপের রাজনীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া কোন দিনও কোন স্বৈরাচারের পতন ঘটেনি। আমাদের সঙ্কটকালীন সময় বর্তমানে দেশের দুইজন শীর্ষ সিটিজেন জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। সেখানে মাহমুদুর রহমান মান্নাও হয়তো আছেন। কিন্তু যারা বাম রাজনীতির সাথে রয়েছেন তারা কি থাকবেন? আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- আন্দোলনের সামনে আমি থাকবো। কিন্তু যারা ঐক্যের ডাক দিলেন তারা ক্ষমতায় গেলে যারা গুম হয়েছে তাদের জন্য এবং দেশের সাধারণ জনগণের জন্য কি করবেন তা ঘোষণা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে কিভাবে দাঁড়াবেন তাও জানাতে হবে। আমি বর্তমানে যে আশা দেখতে পাচ্ছি সেই আশা পূরণ করতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে রাজপথে নামতে হবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন – ঘধঃরড়হধষ ঐঁসধহ জরমযঃং গড়াবসবহঃ- কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ৩০ আগষ্ট আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে “দেশে অব্যাহত গুম-অপহরণ-ধর্ষণ : কোন পথে বাংলাদেশ?” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এইসব কথা বলেন।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন হয়ে ছিল। সেটাকি খারাপ হয়েছিল। সিনহা সাহেব যদি ন্যায় ও বিবেক বান হন তাহলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিরোধীদলের সকলকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে। বিনা ভোটে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে রায় দিতে হবে। এস কে সিনহাকে একের পর এক রায় দেয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।
তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিনের মত পুলিশ অফিসার আমরা চাই না। যে আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও চাঁদা দাবী করে না পেলে পায়ে গুলি করার হুমকি দিত। সবাইকে গুম-খুন হওয়া পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। এদেশের মানুষ তোফান সরকারদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন – ঘধঃরড়হধষ ঐঁসধহ জরমযঃং গড়াবসবহঃ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও আহবায়ক মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না, গণআইন ও শালিস কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো: এজাজ হোসেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা সুলতানা, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি এস. আল মামুন, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি এম.জে সৌরভ, লিয়াকত আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুল ইসলাম মজুমদার, সংগঠনের নেতেৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মহিউদ্দিন মাহি, খলিলুর রহমান, আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদ উল্ল্যাহ রকি প্রমূখ।