নোমান মাহমুদ ঃ সাভারে গত ২৩ শে এপ্রিল ২০১৭ তারিখে জালেশ্বর এলাকায় একটি ৮ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যূবরণ করা ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তৃষার (১১) মৃত্যূর মূল রহস্য এখনো স্পষ্ট নয়। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারাত্বক আঘাতজনিত কারনে প্রচন্ড রক্তক্ষরনে তার মৃত্যূ হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ময়নাতদন্তে লাশের শরীরে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনেরও কোন আলামত পাওয়া যায়নি। ৮ তলা ভবনের উপর থেকে সরাসরি ইটের স্তুপের ওপর পরার দরূন লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। সুতরাং তৃষার মৃত্যূ কোন দূর্ঘটনা, আত্বহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা এখনো অস্পষ্ট। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত এটিকে একটি দুর্ঘটনা বলেই ধারনা করা হচ্ছে কেননা আত্বহত্যা করার মত কোন মানষিক সক্ষমতা বা পর্যাপ্ত জ্ঞান মাত্র ১১ বছর বয়সী ৫ম শ্রেনীর ঐ অবুঝ শিশুটির হয়নি। আর তাকে হত্যা করার মত কোন সুনির্দিষ্ট প্রমানও পুলিশি তদন্তে এখনো মেলেনি। ঘটনার পর ঘটনাস্থল ঐ ৮ তলা ভবনটির ছাদের দরজাও ভিতরের দিক থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর সাভারের স্থানীয় একটি পত্রিকায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এটিকে হত্যা বলে অভিহিত করে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে নতুন করে নড়েচড়ে বসে নিহত শিশুটির পরিবার সহ স্থানীয় এলাকাবাসী। তবে বাস্তনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে অপরাধ বিচিত্রার পক্ষ থেকে শিশু তৃষার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সংগ্রহপূর্বক বিশ্লেষন করে ঘটনাটিকে হত্যা বলে অভিহিত করার মত কোন কারন পাওয়া যায়নি। তবে এবিষয়ে নিহত শিশুর পিতা মোঃ আমিন মোল্লার সাথে কথা বললে তিনি তার শিশুকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষন করেন। নিহত তৃষা সাভারের তালবাগে কলকাকলী কিন্ডারগার্টেনের ৫ম শেনীর শিক্ষার্থী ছিল। সে তার বাবা-মায়ের সাথে তালবাগের ডি-১১/১ বাড়িতে বসবাস করতো। শিশুটির পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ৯.০০ টা নাগাদ শিশুটি কাউকে কিছু না বলে জালেশ্বরে তার খালার বাড়িতে যায়। সেখানেই ঘটে ঘটনাটি। শিশুটির আকষ্মিক এই মৃত্যূর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে তার পরিবারসহ স্থানীয় জনমহলে। যার রেশ আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি শিশুটির পরিবার। এবিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মহসিনুল কাদিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ” যদিও এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে আমি এই থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িতা¡ভার গ্রহন করি। লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তে এখনো এটি একটি দূর্ঘটনা বলেই মনে করছি। তবে যেহেতু ঘটনাটি একটু রহস্যজনক তাই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে অধিকতর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে”। (সুত্র- অপরাধ বিচিত্রা)