মোঃ আবদুল আলীমঃ সরকারী অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিশাল বিত্যবৈভবের সংবাদ প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বেশীর ভাগই রয়েছে পুলিশ, ভূমি অফিস, কোর্ট কাচারি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও ভ্যাট, সিটি কর্পোরেশন, সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। কারন ওপর মহলে কিছু দিলে আর কোন সমস্যা থাকে না। অর্থাৎ যাকে বলে ম্যানেজ বাণিজ্য। এম এ বারি। সরকারী কাস্টমস বিভাগে তিনি সামান্য চতৃর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়। কিছুদিন আগেও তিনি ঢাকার বিজয়নগর অফিসে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বদলি হয়ে ঢাকার বাইরে আছেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি সামান্য কর্মচারী হয়েও নারায়নগঞ্জে অতি মূল্যবান জায়গায় তিন তিনটি আলীশান বাড়ির মালিক। এলাকা সূত্রে জানা গেছে একটি বাড়ির ঠিকানা হচ্ছে মা ভিলা, বাড়ি নং ৬০/৬৫, রোড নং ২/৩, মিজমিজি সাহেবপাড়া, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। এখানে তিনি আলীশান ছয় তলা বাড়ি নির্মান করেছেন। তার অপর বাড়িটির ঠিকানা হচ্ছে মা মঞ্জিল, বাড়ি নং ৩১৭, রোড নং ২, ব্লক ই মিজমিজি, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। দ্বিতীয় বাড়িটিও আলীশান মার্কা। দুইটি বাড়ির পাশে তিনি আরেকটি জমি কিনেছেন যেখানে আপাততঃ টিন দিয়ে ঘেড়াও করে রেখেছেন। জমিসহ এই তিনটি বাড়ির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ওপর বলে এলাকাবাসীগণ জানায়। এ ব্যপারে তার বক্তব্যের জন্য তার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বেশ কিছু লোকের মাধ্যমে হুমকি ধমকি মারেন ও সংবাদ প্রকাশে বিরত থাকতে বলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তার নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি রয়েছে যা তার আয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। এ ব্যপারে অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত চলছে। আগামি সংখ্যায় আরও বিস্তারিত থাকছে।