কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনার বাল্য বিবাহ ভেঙ্গে দিলেন রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে রাত আনুমানিক ১ টার দিকে কনের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে এই বিয়ে ভেঙ্গে দেন তিনি। ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনা (১১) বিয়ের তথ্য স্থানীয় সাংবাদিকের মাধ্যমে পাওয়া গেলে দ্রত বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার কাউনিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চুতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছোটধনতোলা গ্রামের তৈব আলীর তাহমিনা (১১) সাথে একই ইউনিয়নের কাউয়ার চর গ্রামের সোরহাব আলীর পুত্র ছপিয়াল হক (২৪) বিয়ের দিন ধার্য্য ছিলো। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্কুল ছাত্রী তাহমিনার বিয়ে নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক বাল্য বিয়ের তথ্য দিলে থানাপুলিশ তাদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে জানান।
পরে বিয়ের রাতে ওসি পুলিশ পাঠিয়ে মেহেদী অনুষ্ঠান ভেঙ্গে দেন। এরপরও মেয়ের বাবা-মা বিয়ের অনুষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে, এইরকম খবর পেয়ে ওসি জাহাঙ্গীর আলম নেতৃত্বে কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান ভেঙ্গে দেন। তাহমিনা বিবাহ অনুষ্ঠান নিয়ে কনের বাড়িতে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন ছিলো। বর পক্ষের লোকজন উপস্থিত। আর আশে পাশের মানুষ এসে ভির জমালো বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে। তিন’শ বরযাত্রীর জন্য খাবারের আয়োজনও করে। প্রায় ২শ বরযাত্রী থাকা অবস্থায় পুলিশ আসবে বলে খবর পেয়ে বর ও বরযাত্রী বিয়ের স্থান হুরাহুর করে পালিয়ে যায়। পরে আলোচিত এই বাল্য বিবাহ ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয়রা জানান, বাল্য বিবাহ ভেঙ্গে দেয়ার খবর বরের বাকি স্বজনদের কাছে পৌছলে তারা আর কনের বাড়িতে আসেননি।
এদিকে রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, কনের পিতা-মাতাকে থানায় ডেকে এনে তাদের মেয়ে সাথীকে বাল্য বিবাহ না দেয়ার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এইরকম অন্যায় কাজ করবে না বলে জানান পিতা-মাতা। তাহমিনা চুতুর্থ শ্রেণির নিয়মিত একজন ছাত্রী।