জনস্বার্থে চেয়ারম্যান (দুদক) এটেনশন প্লীজ
* তদন্তে আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে কোন স্বাক্ষ্য নেই। * ৭১ প্রবাসী ২ পাকিস্তানী দালাল আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে এসে বিরত থাকেন। * মুক্তিযোদ্ধা দাবীদার আব্দুর রাজ্জাক ও মিলন মুন্সী আসলেই ভূঁয়া। এম,এ ছাত্তার মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার (সূত্র পরস্পর)।* স্বাক্ষী আমীর হামজাকে হুমকি-মারধর ও সাংবাদিকের হাত-পা ভাঙ্গার হুমকির অভিযোগ।
সরেজিমন কাজী মোঃ তফাজ্জ্বল হোসেন ঃ চাঁদপুর পরিসংখ্যান (ডিডি), মতলব উত্তর মুক্তিরকান্দি নিবাসী আঃ রাজ্জাক ও শ্যামনগরের ভূমিদস্যু আউয়াল মেম্বার হত্যা মামলার আসামী মোজাম্মেল হক মিলন মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধা দাবী প্রসঙ্গে আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক চাঁদপুর এর নির্দেশে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বিএম রুহুল আমিন, বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার ভূমি- আহ্বায়ক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সালাহ উদ্দিন-সদস্য এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন সদস্য নিয়োজিত হন। গত ১৯/০৭/২০১৭ইং তারিখে বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে স্বাক্ষীর জন্য নোটিশ প্রাপ্ত হই। গ্রামে আঃ রাজ্জাকের সমাজের লোকজন আঃ রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধ করেনি, যুদ্ধের বছর নিজ বাড়িতে ছিল মর্মে স্বেচ্ছায় গণস্বাক্ষর দেয়া স্বাক্ষীদের বাড়িতে বাদী গেলে রাজ্জাকের লোক যুবক ছেলেরা বাদীর চারপাশে রহস্যজনক উত্তেজিত ঘুরাফেরা করে। পরদিন আলাদা পথে একই সময়ে সকাল ৯ টায় বাদী স্বাক্ষীরা উপজেলায় পৌঁছায়। উপজেলার পূর্ব গেইটের পূর্বে দোকানের সামনে স্বাক্ষীরা আঃ রাজ্জাকের নিয়োজিত স্থানীয় যুবকদের দ্বারা আক্রান্ত হন। স্বাক্ষী দিলে ভয়াবহ হুমকির ঘটনা মোবাইল ফোনে জানিয়ে স্বাক্ষী দিতে স্বাক্ষীরা অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনা আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের নাজির মোঃ নুরুল ইসলামকে জানাই। তিনি জানান, স্যার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাহেব আসলে স্বাক্ষীদের হুমকির ঘটনা জানালে তিনি নাজিরকে জরুরী ঘটনাস্থলে পাঠাতে বলে দেন, স্বাক্ষী এবং হুমকি দাতাদের সহ অফিসে নিয়ে আসবেন। আমাকে সহ নাজির ঘটনাস্থলে গেলে দোকানী জানায়, আগত লোকজন চলে গেছে। আমার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে নাজির কর্তৃক আক্কাস আলী মেম্বারকে ফোন দিলে তিনি জানান, হুমকির মুখে স্বাক্ষী নাদিয়ে আমরা বাড়ী চলে যাচ্ছি। নাজির ঘটনা তদন্তকারী সাহেবকে অবহিত করেন। গ্রামে ও আঁশ-পাশে মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও আঃ রাজ্জাক তাহাদেরকে তার পক্ষে স্বাক্ষীর জন্য অনুনয় বিনয় করলে একজনও রাজী করতে পারেননি। মুক্তিযোদ্ধারা জানায়, আপনার পক্ষে স্বাক্ষী দিলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদও যাবে। বিবাদী আঃ রাজ্জাকও মিলন মুন্সী প্রায় ১৫ জন চেনা অচেনা লোকসহ এজলাশে উপস্থিত হন। তন্মধ্যে ছিলেন যুদ্ধ সময়ে সিলেট ও নারায়ণগঞ্জের দুইজন কুখ্যাত পাকিস্তানী দালাল যারা সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সহ মুন্সীগঞ্জ গজারিয়ার ভাঁড়াটে বশিরুল হক বাচ্চু মুহুরী (পিতা : তুজাম্মেল হক) উপস্থিত হন। একই সাথে ষাটনল ইউনিয়নের ও নিজ গ্রামের আত্মীয়স্বজন সহ আঃ রাজ্জাক ভূমি অফিসে আসেন। যথাসময়ে এজলাশে তদন্ত কাজ শুরু হয়। বিজ্ঞ তদন্তকারী বি.এম রুহুল আমিন সাহেব আসন গ্রহণ করে বাদী আমি কাজী তফাজ্জল হোসেনকে স্বাক্ষী দিতে বলেন। আমার পাশে বসেন স্বাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার এম.এ ছাত্তার মোল্যা। আমি এম.এ ছাত্তার মোল্যার বক্তব্য গত ১ মে, ২০১৭ ইং ৯ মিনিট যাহা মোবাইল ফোনে রেকর্ড ধারণ করেছি, তাহা বাজাইয়া শোনানোর অনুমতি প্রার্থনা করি। বিজ্ঞ তদন্তকারী মহোদয় জানান এম. এ ছাত্তার মোল্যা উপস্থিত আছেন, সরেজমিন শুনিব। তখন আমি এই মর্মে স্বাক্ষ্য দেই যে, গত ১লা মে, ২০১৭ইং আমি ঢাকা যাত্রাবাড়ী থেকে বেলা ১১টায় আমার বন্ধু আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন ব্যবহৃত মোবাইল সীম নম্বর ব্যবহারে আমি মতলব উত্তর উপজেলার ডিপুটি কমান্ডার এম.এ ছাত্তার মোল্লার (পিতা মৃত: আরব আলী মোল্যার) সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলি। আমি জানতে চাই, আপনি মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সীমানার বাড়ী আলী মিয়া প্রধানের বাংলা ঘরে ইউপি কমান্ডার ছিলেন, পাশে আমাদের পাঠান বাজার আবেদিয়া হাইস্কুলে থানা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প ছিল, এই দুই ক্যাম্পে আপনাকে ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছি, কিন্তু আমাদের গ্রামের মৃতঃ আঃ হাকিমের পুত্র আঃ রাজ্জাককে একদিনও দেখিনাই, তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলেন কিভাবে? এম.এ ছাত্তার মোল্যা জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় আঃ রাজ্জাক মতলব বাজারে থেকে থানা পরিসংখ্যানে চাকুরি করতো দুইবার এবং মতলব বাজারে থেকে চাকরি করতো মোট তিনবার সহ মোট ৫ বার বলেন। আঃ রাজ্জাক মতলব বাজারে রাতে ঘর ছেঁড়ে আমাদের থাকতে দিতো, খাইতে দিতো, নাবিস্কো বিস্কুট দিয়ে চা দিতো ইত্যাদি বক্তব্য আমি মোবাইল ফোনের মেমোরিতে ৯ মিঃ রেকর্ড ধারণও সংরক্ষণ করি। ১৯৭১ সনে আঃ রাজ্জাক স্থানীয় পাঠান বাজার আবেদিয়া হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন, একই স্কুলে আমি তখন ৮ম শ্রেণীতে পড়ি, যুদ্ধের পর ১৯৭২ সনে আঃ রাজ্জাক এসএসসি, তার পর আইএসসি, তৎপরবর্তী ডিগ্রী পাস করে থানা পরিসংখ্যানে চাকুরি করেন, তিনি এসএসসি পাস নাকরে যুদ্ধের সময় থানা পরিসংখ্যানে সরকারী চাকুরি করলেন কিভাবে? এম.এ ছাত্তার মোল্যা বলেন, আঃ রাজ্জাক তখন চাকুরী করতো, আমি যা দেখেছি তা সত্য বলছি। আমি জানাই আপনার কথা টিকাতে পারবেন না। সাপ্তাহিক অপরাধ চিত্রে আঃ রাজ্জাক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সংবাদ ২০০১ সালে প্রাকশ করায় আঃ রাজ্জাক বালুরচরের অলিউল্যাহ চেয়ারম্যানের পুত্র আনোয়ার হোসেন গং, ৪ জন ভাঁড়া করে বেলতলী লেংটার মেলা ফেরী ঘাটের পূর্বপাশে হত্যার জন্য নির্যাতনের বর্ণনা দেই। আর্মি নাজিমউদ্দিন ও আঃ খাঁ কর্তৃক উদ্ধারের বর্ণনাসহ আমি বাদী হয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞ ১ম শ্রেনীর হাকিম আদালতে আঃ রাজ্জাক গংদের আসামী করে মামলা করি জানাই। আঃ রাজ্জাক স্থানীয় জেলেদের ভূঁয়া স্বাক্ষরে আইজিপি অফিসে ভূঁয়া আবেদন করে উভয় আবেদন মতলব থানায় তদ্বীর করে ফাইনাল রিপোর্ট করায়ে মামলা আমার খারিজ করায়। আঃ রাজ্জাক জালিয়াতি ব্রিটিশ স্ট্যাম্প সংগ্রহ করে গ্রামের ৮/১০ জন নির্দোষ মানুষকে নব্য মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে থানা পুলিশ ম্যানেজ করে মিথ্যা আগুনের মামলাসহ গ্রেফতার নির্যাতনে, জেলা হাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে কয়েক বছর পর আদালতে মামলা মীমাংসা হলে আঃ রাজ্জাক পক্ষের বাদী সুলতান খাঁ নগদ মূল্যে ৭৬ শতাংশ জমি কিনে নিতে বাধ্য হন। আঃ রাজ্জাক ও মিলন মুন্সী আমার সাথে চলে এমন লোক খুন করে জাল সনদের ডেহমাস্টার রুহুল আমিনকে বাদী করে আঃ রাজ্জাক ও মিলন মুন্সী স্বাক্ষী দিয়ে তফাজ্জলকে ফাঁসি দিবে ঘটনা দৈব কারণে ফাঁস হয়ে যায়। বিবাদীরা আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা চালাচ্ছে জানাই। বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমার সকল বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন এবং তিনি বিবাদী আঃ রাজ্জাককে যুদ্ধের সময় কি করেছেন জানতে চান। আঃ রাজ্জাক কুচুমুচু শুরু করেন, আস্তে জানান, যুদ্ধের সময় আমি সুজাতপুর বাজারে অমুক মুক্তিযোদ্ধার নিকট প্রশিক্ষণ নেই,আর কিছু নাবলে চুপ করে থাকেন যেন একটা বিপদের মুহূর্তে আছেন, চলে যেতে পারলেই বাঁচেন অবস্থা। উল্লেখ্য যে, আঃ রাজ্জাকের নিজ গ্রামে ও নিজ স্কুলে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে ভারত ফেরত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আঃ রাজ্জাক তাদের কাছে প্রশিক্ষণ নানিয়ে প্রায় ১৫কি:মি: দূরবর্তী যুদ্ধ ক্ষেত্র পাড়ি দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়া মিথ্যা বানোয়াট। সুজাতপুর বাজারের প্রশিক্ষণের মিথ্যা পরিকল্পনা সৃজনের কথা স্বাক্ষীর সপ্তাহ পূর্বেই এলাকায় ফাঁস হলে হাটে বাজারে মানুষ আঃ রাজ্জাক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সমালোচনা করেন। আঃ রাজ্জাকের আনিত ষাটনল ইউনিয়ন ও মুন্সীগঞ্জ গজারিয়ার লোকজন আঃ রাজ্জাক মুক্তিযোদ্ধা বা সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা ছিল এমন কথা একজনও বলেন নাই। পিছন থেকে একজন জানান উপস্থিত হারুনুর রশিদ পাঠান ও আমিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর পাকিস্তানী দালাল মর্মে তফাজ্জল পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশ করে। আমি তফাজ্জল জানাই ১৯৭১ সালে অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ পাঠান নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ও আমিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর সিলেটের ধোপাদীঘিরপাড় কৃষি বিভাগে সরকারী চাকুরিতে থেকে পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে একত্রে যুদ্ধ করায় তিনি পাকিস্তানী দালাল। দালালরা সত্য শুনে চুপ থাকেন। বাচ্চু মুহুরীর বেহাই বৈদ্যনাথপুরের শওকত আলী মাস্টারকে জাহাঙ্গীরের বিক্রিত ডিগ্রী জাল সনদে হেডমাস্টারী রক্ষায় গ্রেফতার এড়াতে সাংবাদিক তফাজ্জলকে চাপ সৃষ্টির জন্য ষাটনলী আত্মীয় স্বজন এনে আঃ রাজ্জাক মুক্তিযোদ্ধা মর্মে স্বাক্ষী দিতে অপারগ হয়ে ঢাক্্ পিটিয়ে চিড়া খেয়ে চলে যায়। আঃ রাজ্জাক নিজ গ্রামে ৩০৭টি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার এনে দেয়। মিটার প্রতি খরিদ মূল্য ৭৫০ টাকা হলেও আঃ রাজ্জাক আদায় করে ৭৫০০/- টাকা হারে। এতে খরচ গিয়েও আঃ রাজ্জাক ২০/২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে গ্রামবাসী জানায়, ৩০৭টি মিটার নম্বর অপরাধ বিচিত্রা কার্যালয়ে জমা আছে। এছাড়াও পারিশ্রমিক ২ লক্ষ টাকাসহ অফিস খরচ লক্ষাধিক টাকা নেয় বলে গ্রাম সূত্রে জানা যায়। বহু বছর যাবত আঃ রাজ্জাক গং নিজেদের পাপের প্রায়োশ্চিত করতে জনগনের নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক কাজী তফাজ্জল হোসেনকে হত্যার চেষ্টা করছে। পিতা-মাতা ও দেশবাসীর দোয়ায় আঃ রাজ্জাক গং কৃতকার্য নাহলেও অত্যাচারে সাংবাদিকের জীবন প্রায় ধ্বংস করে দেয়। এতেও তারা সন্তুষ্ট নহে।মুক্তিযোদ্ধা জালিয়াতি সনদের জের সর্বশেষে জানা যায়, আঃ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যারা লিখিত স্বাক্ষী হয়েছে তাদের একজন আমির হামজা, পিতা- সৈয়দ আলী ২ দিন আমাদের গ্রামের রাস্তায় আক্রান্ত হয় শোনা যায়। একইদিন হুমকি ও গালিগালাজসহ সাংবাদিক তফাজ্জলকে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকির কথাও শোনা যায়। অপর একদিন গ্রামের পাকা রাস্তার উপর আঃ রাজ্জাকের বাড়ীর পাশে আমির হামজাকে মারধর করার ঘটনা শোনা যায় যাহার আইনী তদন্ত বিচার আবশ্যক। হুমকির ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যান লোকমান হোসেনকে জানিয়ে রাখা হয়েছে। সার্বিক ঘটনায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাতিল করে, মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় তাহার কন্যাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদ হতে বহিষ্কার করে, মুক্তিযোদ্ধা খাতে নেওয়া সকল সুবিধা ও অর্থ সরকারী ট্রেজারীতে জনস্বার্থে ফেরত নেবার ন্যায় বিচারের প্রার্র্থণা জানাই। খন্দকার মোস্তাকের স্কুলে জাল সনদে হেডমাস্টার রুহুল আমিন। আব্দুর রাজ্জাক ও তাহার হেলপারগণ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করলে দুদকে এজাহার গন্যের আবেদন করতে বাধ্য হবো। অন্যথায় এজাহার নহে।