চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে সুন্নতি চিকিৎসা

0
3440

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক : চোখের সমস্যা প্রায় সবারই আছে। ছোট বড় শিশু কেউ যেন রেহাই পায় না। ছোট একটি শিশু তার চোখেও চশমা। আগে দেখা যেত বয়স্ক ব্যক্তিরা হাই পাওয়ারের চশমা পরতেন। এখন আর তা নেই। শিশু বৃদ্ধ সমান। আর একে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চশমা বিক্রির জমজমাট ব্যবসা। উপয়ান্তর হয়ে বাধ্য হন সকলেই। ইসলাম তো পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এতে মানবজীবনের সকল কিছুই রয়েছে। পায়ের জুতা পরিধান করা থেকে শুরু করে দাফন কাফন পর্যন্ত সব কিছুই রয়েছে।

Advertisement

চোখের সমস্যার বিষয়ে কী কিছুই নেই আমাদের শরীয়তে ? অবশ্যই রয়েছে। আমাদের নবী সা: আজ থেকে চৌদ্দ বছর পূর্বে বলে গিয়েছেন চোখের চিকিৎসার কথা। তিনি বলেন, তোমরা ইসমিদ সুরমা’ ব্যবহার কর, এতে তোমাদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে এবং চোখের পালক উৎপন্ন করে। তিরমিযি শরীফ

আরেক হাদীসে এসেছে, তোমাদের উত্তম সুরমা হলো ইসমিদ সুরমা। কেননা তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং (চোখের পাতার) চুল উৎপন্ন করে। সুনানে নাসাঈ হাদীস শরীফে এসেছে, নবীজি সা : প্রতি রাতে তিনবার সুরমা লাগাতেন। (সুনানে নাসায়ি ও শামায়েলে তিরমিযি)
ইসমিদ সুরমা হলো সৌদি আরবের সবচেয়ে উন্নতমানের সুরমা। সাধারণ সুরমা ব্যবহার করলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। আসল সুরমা ব্যবহার করতে পারলে ভালো।

সুরমা ব্যবহারের পদ্ধতি : সুরমা লাগাতে হবে ঘুমের আগে। পরিমাণ মতো তিনবার। ইবনে সাদ বলেন, তিন পদ্ধতিতে সুরমা লাগানো যায়।
১. প্রত্যেক চোখে আলাদাভাবে তিনবার কে সুরমা দিতে হবে। প্রথমে ডান চোখে তিনবার। এরপর বাম চোখে তিনবার।
২. দুই চোখে একসঙ্গে সুরমা দেওয়া। গড়ে তিনবার হওয়া। প্রথমে ডান চোখের ডান দিক হতে একবার। এরপর বাম চোখের ডান দিক হতে একবার। পর্যায়ক্রমে তিনবার করে শেষ করা।

৩. নবীজি কখনও ডান চোখে তিনবার এবং বাম চোখে দুইবার লাগাতেন।
নবীজির অনুসরণ করে আমরা যদি নিয়মিত চোখে সুরমা ব্যবহার করি তাহলে আমাদের চোখের জ্যোতির সমস্যা ইনশা-আল্লাহ থাকবে না। তবে চোখে রোগ থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। চিকিৎসা করাতে হবে।
আমাদের নবী সা : ষাটের বেশী সময় জীবিত ছিলেন। তার এতো বয়সেও চোখের জ্যোতির সমস্যা হয় নি। সাহাবা তাবেয়ী সকলেই সুরমা ব্যবহার করতেন। এজন্য আগের যুগে চশমার এতো প্রচলন ও ব্যবহার ছিল না। নিয়মিত সুরমা ব্যবহার করলে চশমার আর প্রয়োজন হবে না।

 

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here