মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ক্যাম্পে আজ যোগ দেয়ার কথা ছিল তার। সেটি আর হচ্ছে না। সাবিনা ইয়াসমিন এখন দূর আকাশের তারা। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কলসিন্দুরের ফুটবলকন্যা সাবিনা জীবনের সুখ-দুঃখের হিসাব চুকিয়ে পাড়ি জমালো না ফেরার দেশে। মাত্র তিনদিন জ্বরে ভুগে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেল কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)।
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের দলের স্ট্রাইকার ছিল সাবিনা। বয়স হয়েছিল মাত্র ১৪ বছর। সাবিনার গ্রামের বাড়ি রানীপুর। বাবার নাম সেলিম। সে গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাড়িতে ফিরেছিল। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনদিন ধরে সে জ্বরে ভুগছিল। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় অবস্থার অবনতি হলে তাকে ধোবাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে কর্তব্যরত ডাক্তার সাবিনাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহদী হাসান হাসপাতালে গিয়ে নিজের গাড়িতে সাবিনার মরদেহ কলসিন্দুরে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়ে সানজিদা, মার্জিয়ারাও।
স্পোর্টস রিপোর্টারের সংযোজন, তিন ভাইবোনকে নিয়ে মা ফজিলা খাতুনের অভাবের সংসার। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। সাবিনা ছিল মেজো। ভাই সবার ছোট। মেয়েদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘সাফের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিল সাবিনা। ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা ছিল মেয়েটার। সাফের ক্যাম্পে এবারই প্রথম সে নির্বাচিত হয়েছিল। আমরা একজন সম্ভাবনাময়ী তারকা ফুটবলারকে হারালাম। এই বয়সে তার মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছি না।’