আমরা যারা ঢাকায় থাকি নানা রকম সমস্যা আমাদের চেপে ধরে থাকে সর্বক্ষন। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তা হলো বাসা ভাড়া। ৩০ তারিখ এলে গলা শুকিয়ে আসে অগ্রীম ভাড়া নেবে তাও আবার ৫ তারিখের মধ্যে। সমাজে ২০’ লোক বাড়ির মালিক। ৮০’ লোক ভাড়া থাকেন। এই ৮০’ লোক কোন না কোন ভাবে ২০’ বাড়ীর মালিকদের কাছে জিম্মি। সরকার গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল কয়েক দিন পর পর বাড়াচ্ছে এবং আমরা তা দিতে বাধ্য হচ্ছি। বাড়ী ওয়ালারা বছর বছর বাড়ী ভাড়া বাড়াচ্ছে তাও আমরা দিতে বাধ্য হচ্ছি। যত কষ্ট হোক আমরা তা সময় মত পরিশোধ করতে চেষ্টা করছি। ৩০ তারিখের পর থেকে দারোয়ান বা কেয়ারটেকার দরজায় নক করতে থাকে। বাড়ীর কেয়ারকেটার গুলো এমন আচরন করে যেন আমরা বিশেষ কোন অন্যায় বা সমস্যা করেছি। ভাড়া দিতে দেরি হলে রাত ১১টার পর বাসায় এলে, বেশী মেহমান এলে, বাচ্চারা একটু শব্দ করলে যে কোন অজুহাতে কেয়ারটেকারের হাতে বাসা ছাড়ার নোটিস পাঠিয়ে দেন। বাড়ীর মালিকদের কোন প্রশ্ন করা যাবে না। একটা কথা বাসা ছাড়তে বলেছি ছেড়ে দেন। বাড়ী ওনাদের কেয়ারটেকার ওনাদের আমরা অসহায়। ওনাদের বুঝা উচিত আমরা টাকা দিয়ে থাকি। নুন্যতম সন্মানবোধ আমাদের দেখানো উচিত। যাদের ঢাকা শহরে একটা বাড়ী আছে তারা ভাড়াটিয়াদের মাথা কিনে নিয়েছেন। ওনারা রাত ২টায় বাসায় আসবেন তাতে কোন সমস্যা নেই। আমরা ১২টায় এলেই গেটে তালা। ওনাদের বাচ্চারা বাসায় ক্রিকেট খেলে আর আমাদের বাচ্চারা একটু শব্দ করলেই দোষ। সরকার বাড়ীওয়ালা ভাড়াটিয়া নিয়ে যে আইন