জেমস এ.কে হামীম ঃ
রাজধানী তুরাগে ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটো ও রিক্সার রমরমা ব্যবসা চলছে। ইতিপূর্বে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অল্প করে ক্ষুদে মালিকরা ব্যাটারী চালিত রিক্সা তৈরি করে তা তুরাগের অলিগলিতে চালালেও বর্তমানে বেশ কয়েকটি ভুই ফোড় সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে এখন তুরাগে এই অবৈধ রিক্সা চলাচল করছে প্রায় ২ হাজার। শুধু তাই নয় নামধারী সংগঠনগুলো নামে প্লেট-টোকেন তৈরি করে এসব অবৈধ রিক্সাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকটি সংগঠন ইতোমধ্যে তুরাগে প্লেট-টোকেন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন একজন ভুই ফোড় নেতা নলভোগের নাজিম উদ্দিন বলেন, প্লেট টোকেন বিক্রি করা টাকার বৃহদাংশ চলে যায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পুলিশের পকেটে। সংগঠনের নেতারা তেমন কিছুই পায় না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তুরাগের বিভিন্ন এলাকার রিক্সা মালিকদের সংগঠিত করে এ অবৈধ রিক্সা প্লেটের ব্যবসা পরিচালনা করা হয় এবং এর থেকে আদায়কৃত টাকা ঐসব নেতা আর ওসি তদন্ত শফিক ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে গত ১ বছর ধরে অবৈধ এই ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা দেদারছে চলছে তুরাগ থানা ওসি তদন্ত শফিক সন্তুষ্ট করে। একাধীক সুত্র জানায়, প্রতি মাসের ১০ তারিখে এ ব্যবসা থেকে থানার ওসির আয় প্রায় লাখ টাকা। নলভোগ রিক্সা মালিক সমবায় সমিতির আড়ালে এই অবৈধ প্লেট, টোকেনের ব্যবসা টোকেন বানিজ্য করে যাচ্ছেন নাজিমউদ্দিন, ফারুক, বাবুল, লিটন সহ আরো অনেকে। বেশ কয়েকজন রিক্সার মালিক বলেন, এইসব সংগঠনগুলো প্রতি মাসের জন্য প্লেট ছাড়ে ৭০০ টাকা করে। মেয়াদ শেষ হলেই আবার তা নবায়ন করতে হয়। নবায়নের সময়ও তাদেরকে সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়। যদি কোনো মালিক সংগঠনগুলোর প্লেট না লাগায় তাহলে তাদের গাড়িগুলো পুলিশ দিয়ে আটক করানো হয়। এজন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে সংগঠনগুলো পারিশ্রমিক দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। সততা পরিবহন নামক একটি সংগঠন এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সার ওপর জরিপ পরিচালনা করে দাবি করেন তুরাগে প্রায় ২২০০ ব্যাটারিচালিত রিক্সা রয়েছে। শুধু তাই নয় সুনামধন্য রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নামের সাথে মিল রেখে তুরাগে কথিত বাস্তহারালীগের নেতা পরিচয়ে ফরিদ ও চাঁদাবাজ ফারুক, রিক্সাচোরের গডফাদার লিটন সহ আরো অনেকেই প্রতি মাসে এ অবৈধ টোকেন প্লেট বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে মুঠো-ফোনে অফিসার ওসি তদন্ত শফিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।