চেহারা যতোই সুন্দর হোক, হাসতে গিয়ে বা কথা বলতে গিয়ে যদি দেখা যায় দাঁত কালো, সামনের দাঁত ভাঙা, মুখে দুর্গন্ধ তাহলে আপনার সব সৌন্দর্যেই ভাটা পড়ে যাবে। তাই তো নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে সবার আগে দাঁতের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার :
দাঁতে পাথর জমতে পারে, মুখে দুর্গন্ধ, অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে দাঁতে কালো দাগ পড়ে, অতিরিক্ত চা-কফি কোল্ডড্রিংস পানেও দাঁত কালো হতে পারে, পান ও জর্দা, খাদ্যাভ্যাস যেমন : ফাস্টফুট খেলে দাঁতে দাগ হয়।
এছাড়া মুখের সামনের দাঁত ভাঙা, দাঁতে ক্যারিজ, মাড়ি লালচে এবং ফোলা ভাব, মাড়ি থেকে রক্ত ঝরা, মুখে দুর্গন্ধ, আঁকা-বাঁকা, ফাঁকা দাঁত এবং বিবর্ণ দাঁতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত পান জর্দা খেলে মুখে সাধারণ মাড়ি রোগ থেকে ক্যানসারের আশংকাও থাকতে পারে।
মুখে দুর্গন্ধের কারণ :
কিছু খাবার আছে যা খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয় যেমন : বেশি মশলাদার খাবার, কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া ইত্যাদি। বহুদিন ধরে দাঁতে পাথর জমলে, মাড়িতে ইনফেকশন, ফুসফুসের ইনফেকশন থাকলে, সাইনুসাইটিস, দাঁতে ক্যারিজ, মুখে ও পেটে আলসার, মুখে ফাংগাল ইনফেকশন থাকলে মুখে দর্গন্ধ হয়।
চিকিৎসা :
* স্কেলিং, পলিশিংয়ের মাধ্যমে দাঁতের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করা যেতে পারে।
* খাদ্যাভ্যাসের কারণে দাঁতের সমস্যা দেখা দিলে খাদ্য তালিকায় ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার যোগ করুন। এছাড়া ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
* দাঁতে পাথর জমলে অবশ্যই স্কেলিং পলিশিং করিয়ে নিতে হবে।
* দাঁতে পানের দাগসহ কঠিন কোনো দাগ থাকলে ব্লিচিং করিয়ে নেয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ব্লিচিংয়ে দাঁতে ক্ষয় রোগ হতে পারে। তাই এটা বেশি করা যাবে না।
* মুখে ভাঙ্গা-ফাটা ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত থাকলে কসমেটিক ফিলিংয়ের মাধ্যমে সেটা ঠিক করা যায়। ক্যাপ বা ক্রাউন করে নিলেও হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যায়।
* কোনো কারণে চোয়ালে কোথাও দাঁত না থাকলে অত্যাধুনিক পদ্ধতি ডেন্টাল ইনপ্লান্টের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।
* দাঁতে ক্যারিজ থাকলে কসমেটিক ফিলিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান, বিস্তৃতি ও রোগের ইতিহাস জেনে প্রয়োজনে এক্সরে করে ফিলিং বা রুট ক্যানেল ক্যাপ করে দাঁতের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফেরানো সম্ভব।
* হাসলে লাল টকটকে ফোলা মাড়ি স্কেলিং রুট প্লানিং, কিউটেরিজের মাধ্যমে ফোলা মাড়িকে স্বাভাবিক করা যায়।
* আঁকা-বাঁকা ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করাতে হবে ফিক্সব্রেসের মাধ্যমে। এ চিকিৎসা ব্যববহুল ও সময়সাপেক্ষ। এছাড়া দাঁতে আরো কোনো জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই উত্তম।