রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও তার স্ত্রী-পুত্রসহ ৬ জনের ব্যাংক হিসাবসহ সহায়-সম্পদের তথ্য চেয়ে ১২টি ব্যাংক, বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি), ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা রেজিস্ট্রার এবং রিহ্যাব সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের স্বাক্ষরে এ চিঠি পাঠিয়ে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং ও সরকারি-বেসরকারি মালিকানার জমি দখল করে উত্তরায় রূপায়ন সিটি গড়ে তোলার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। লিয়াকত আলী খান মুকুল ছাড়াও দুদকের চিঠিতে যাদের ব্যাংক হিসাবসহ অন্যান্য তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম নাসিমা, মা ফরিদা বেগম, ভাই আলী আকবর খান রতন, ছেলে সাইফ আলী খান অতুল ও মাহির আলী খান রাতুল। সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, পূবালী, প্রাইম ও ইসলামী ব্যাংকসহ ১২টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো দুদকের চিঠিতে মুকুলসহ ৬ জনের নামে কোনো প্রকার ব্যাংক হিসাব, এফডিআর বা আমানত থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ৬ জনের নামে জমিজমা, প্লট-ফ্ল্যাট ও ফ্ল্যাটের ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে। রিহ্যাবের সভাপতির কাছে পাঠানো চিঠিতেও তাদের প্লট-ফ্ল্যাটের ব্যবসাসহ তাদের নিজস্ব নামে কি সম্পদ রয়েছে তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিআরটিএ’র কাছে চিঠি দিয়ে মুকুলসহ ৬ জনের কার নামে কতগুলো গাড়ি আছে তার তথ্য চেয়েছে দুদক। সূত্র জানায়, দুদকে আসা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের সম্পদের প্রাথমিক অনুসন্ধান করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে তথ্য চেয়ে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। এ অনুসন্ধান ছাড়াও তার কাছে উত্তরায় রূপায়ন সিটি গড়ার নামে সরকারি ও স্থানীয়দের জমি দখল করার অভিযোগে আরও একটি অভিযোগের অনুসন্ধান করছেন তিনি। ওই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রাজউক ও রূপায়নের মালিকের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে পৃথকভাবে চিঠি ইস্যু করেছেন দুদকের ওই কর্মকর্তা। এর বাইরে রূপায়ন মালিকের এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত আরও একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।