প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ভূমিকার কারণেই আন্তর্জাতিক বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ দেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলেই রোহিঙ্গারা বিশ্ববাসীর মনোযোগ ও সহমর্মিতা পাচ্ছে। এ সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাপী আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি মিয়ানমারও আলোচনায় এগিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এর সমাধান সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে মিয়ানমারের দিক থেকে যুদ্ধের উসকানি থাকলেও তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এড়ানো হয়েছে। এছাড়া পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরুর পর পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানোয় অনেক অপমানের একটি জবাব দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফেরার পর শনিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে এদিন সকাল নয়টা ২৫ মিনিটে দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, ক্রীড়াবিদরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। সবার আন্তরিক শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। বিমানবন্দর থেকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ফেরার পথে পুরো রাস্তার দু’পাশে নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ তাকে হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে এবং স্লোগানে স্লোগানে সংবর্ধিত করেন। সাড়ে দশটার দিকে বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে বেলা ১১টার সময় নিজের বাসভবনে (গণভবন) প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাতীয় কর্তব্য হিসেবে মিয়ানমারের এই মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও খোঁজ নিয়ে দেখলাম, তাদের ওপর নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, মেয়েদের ওপর পাশবিকতা চলেছে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দিই। যদিও এসব ক্ষেত্রে পৃথিবীতে অনেকে দরজা বন্ধ করে রাখে। এ সময় ছোট বোন শেখ রেহানার কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে বলেন, ‘রেহানা বলল, ১৬ কোটি লোককে খাওয়াচ্ছ, আর ৫-৭ লাখ লোককে খাওয়াতে পারবে না? আমি সেখানে গেলাম, সবাইকে ডেকে বললাম, ‘আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। এ মানুষগুলোকে আশ্রয় দিতে হবে এবং খাওয়াতে হবে।’ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করার বিষয়ে সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে এক বেলা খাব, আরেক বেলা তাদের ভাগ করে দেব।’ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, কে কি দেবে সেদিকে না তাকিয়ে আমরা দ্রুত বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা আশ্রয় না দিলে রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারত না।
প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশের মানুষের রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে বলেই আমরা এই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।’
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের পদক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ও ফোরাম এ নিয়ে আলোচনা করেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একজন এসেছে, এটা একটা বিশেষ দিক। শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা যেন স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার আগে তাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন তারা যেভাবে আছে, সেভাবে থাকতে পারে না। আমি যাওয়ার আগেই নেভিকে টাকা দিয়ে গিয়েছিলাম। ভাসানচরে দুটি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। নোয়াখালীর লোকজন বলে ঠেঙ্গারচর আর চিটাগাংয়ে বলে ভাসানচর। যেহেতু এরা ভাসমান, তাই আমি বললাম, ভাসানচর নামটাই থাকুক।
রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে মিয়ানমারের প্ররোচনা ও উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের একেবারেই প্রতিবেশী… একটা পর্যায়ে এমন একটা ভাব দেখাল… আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ বেধেই যাবে। আমি আমাদের সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড, পুলিশসহ সবাইকে সতর্ক করলাম… যেন কোনোমতেই কোনোরকম উস্কানির কাছে তারা যেন বিভ্রান্ত না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি নির্দেশ না দিই।’ তারা বিভ্রান্ত হয়নি, ধন্যবাদ তাদের প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। প্রথমে সীমান্ত খুলে না দিলেও সিদ্ধান্ত বদলানো হলে এ পর্যন্ত ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যেই বেশ কয়েক দফা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, সীমান্তে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে গুলিও চালায় ওই দেশের বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে রোহিঙ্গা সংকট অবসানের জন্য পাঁচ প্রস্তাব তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া এবং এ সমস্যা সমাধানে তার প্রস্তাব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়।
অনেক অপমানের একটি জবাব : পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ রকম খরসে াতা নদীতে (পদ্মায়) সুপারস্ট্রাকচার করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। অনেকেই সন্দিহান ছিল। আল্লাহর রহমতে আমরা করেছি। ওবায়দুল কাদের স্প্যান বসানোর উদ্বোধনে দেরি করতে চেয়েছিল। আমি বলেছি- না। এটা নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। অনেক মানুষকে অপমানিত হতে হয়েছিল। এক সেকেন্ডও দেরি করব না। আমেরিকান সময় ৩টার দিকে মেসেজ পেলাম সুপারস্ট্রাকচার বসেছে। আমি ছবি চাইলাম। ওই ছবি দেখে আমরা দুই বোন কেঁদেছি। ওই সময় তিনি বলেন, ‘আমি এটুকু বলতে পারি, অনেক অপমানের একটা জবাব আমরা দিতে পারলাম। মানুষের বিশ্বাস, আস্থা অর্জনের চেয়ে রাজনীতিকের জীবনে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হয় না।’
ফুলেল শুভেচ্ছা পর্ব শেষে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিপন্ন মানবতার বাতিঘর’ অভিহিত করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও মানসিক দৃঢ়তার কারণেই কেবল পদ্মা সেতুর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সুপারস্ট্রাকচার বসানোর সময় এই প্রকল্পের (পদ্মা সেতু প্রকল্প) রূপকার (শেখ হাসিনা) বিদেশে ছিলেন বলে তা সাত দিন পিছিয়ে দেয়ার অনুমতি চেয়েছিলাম। তখন তিনি বলেন, ‘আমার জন্য পদ্মা সেতুর কাজ এক মিনিটও বিলম্বিত হবে না।’
উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজের উদ্বোধন করা হয়।
বিমান থেকে নেমে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে আসেন ঘিয়ে রঙের শাড়ি পরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফ্রেস হওয়ার পর তাকে প্রথমে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর ফুল দেয়া হয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে। পরে বিশিষ্টজনদের পক্ষ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর রশীদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান ও বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান। আর ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে সঙ্গে নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, গোলাম কুদ্দুস, সারা যাকের সংস্কৃতি অঙ্গনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। এছাড়া শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খানসহ এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেয়ার পর বিমানবন্দর থেকে গণভবনের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। এই পুরোটা পথে রাস্তার দুপাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের জনগণ তাকে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে অভিবাদনের জবাব দেন। তারা বাদ্য ও মাইকে গান বাজিয়ে, স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। নেতাকর্মীদের গায়ে ছিল রঙিন পোশাক, হাতে ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাস্যোজ্জ্বল ছবি, নৌকা বা কোনো পোস্টার অথবা ফুল। দু’পাশে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যে ছিল আনন্দের আমেজ। আবার অনেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন কিংবা রঙবেরঙের বেলুন। সব মিলিয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল উৎসবমুখর। দলের সভাপতিকে অভিনন্দন জানাতে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার সকালেই বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে জমায়েত হন। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীরা আসেন। গাড়িবহর রাস্তা অতিক্রমকালে সমবেত নেতাকর্মীরা ‘শেখ হাসিনা-দেশ-বিদেশের রত্ন, আমরা সবাই ধন্য’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে, হাত নেড়ে তাকে অভিনন্দন জানান। তার আগমন উপলক্ষে যাতায়াতের রাস্তাগুলোকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজসজ্জায়। প্রধানমন্ত্রী গণভবনে পৌঁছলে তার নিরাপত্তা বাহিনী এসএসএফের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
তবে প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে নামা থেকে গণভবন পৌঁছানো পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ থাকার কারণে রাস্তায় মৃদু যানজটের সৃষ্টি হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোর সময় ও মিছিল নিয়ে আসার সময় শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহারে দলীয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি। অনেক নেতাকর্মীর হাতেই স্ব স্ব সংগঠনের নেতা বা স্থানীয় নেতাদের ছবি দেখা গেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো বাদ্যযন্ত্র বা ঢোল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও রাস্তার অনেক স্পটেই এসব বাজতে দেখা গেছে।
১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যান শেখ হাসিনা। সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে ওয়াশিংটনের ভার্জিনিয়ায় ছেলের বাসায় যাওয়ার পর সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৬ সেপ্টেম্বর তার গলব্লাডার অপারেশন করা হয়। সেখান থেকে ৩ অক্টোবর লন্ডনে যান তিনি। এরপর শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা ৫৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫৫ মিনিট) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।