নারায়ণগঞ্জে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু, হাসপাতালে ভাঙচুর

0
658

 নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তলিয়ে গিয়ে সাইফুল ইসলাম সীমান্ত (১৪) নামে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বন্দর ময়মনসিংহ পট্টি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাসপাতালের ডাক্তার মৃত ঘোষণা করলে স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর করে। এতে ক্ষুব্ধ ডাক্তাররা কর্মবিরিত পালন করে ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। নিহত সীমান্ত একই এলাকার নাঈম মিয়ার ছেলে। সে বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
সীমান্তের মামা কাজল জানান, বেলা সাড়ে ১২টায় তিন বন্ধু শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে যায়। ওইসময় নদীর স্রোতে তিন বন্ধু পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করতে পারলেও সীমান্তকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বন্দরের ডুবুরি দল প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে সীমান্তকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস লাইমা জানান, পানিতে ডুবে মারা যায়। হাসপাতালের আনার আগেই সীমান্তের মৃত্যু ঘটে। এদিকে শিশুর মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ভিতরে বিক্ষোভ দেখায় নিহতের স্বজনেরা। এসময় তারা হাসপাতালে ডাক্তারদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেন। তাছাড়াও হাসপাতালের ভেতরে ভাঙচুর শুরু করেন এবং ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের লাঞ্ছিত করেন। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে দুপুরে হাসপাতালের ভিতরে আধা ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি দিয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।হাত কেটে যাওয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা মো. আমির হোসেন (৬০) বলেন, ‘শিবুমার্কেটে এলাকায় পা পিছলে পরে গিয়ে হাত কেটে যায়। এর জন্য চিকিৎসা নিতে আসি কিন্তু এখানকার ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ চিকিৎসা না দিয়ে বের করে দেয়।’নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক জানান, ‘হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে নিহতের স্বজনেরা। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হবে।’

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here