মাজহারুল ইসলাম,রৌমারীঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া জেরে নদীতে ২ শিশুকে জলে ডুবি হত্যার পর নিখোঁজ থাকা এক শিশু নদীতে থেকে মৃত লাশ উদ্ধার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার চর খেয়ার চর জিঞ্জিরাম নদীর পাশ থেকে নিখোঁজ থাকা শিশু আয়শা সিদ্দিকা (৩) মৃত্যু লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষর্দশী জানান, এক পথচারি আজ সকালে জিঞ্জিরাম নদীর পাশ দিয়ে সায়েদাবাদ বাজারে যাওয়ার পথে হারুনের বাড়ির নিকট নদীঘেষা খোলা পুকুরের পাশে এক শিশু সন্তানের লাশ দেখা হয়। পরে মৃত লাশের কথা স্থানীয়দের জানালে দ্রুত এলাকার লোকজন ছুঁটে আসে।
যেখানে মৃত আয়শা সিদ্দিকার লাশ অবস্থানের নিকঠ বসবাসকারি হারুন জানান, সকালে এক পথচারি বাজারে যাওয়ার পথে মৃত শিশুর লাশ দেখে। পরে আমাদের ডেকে বলে এখানে এক শিশুর লাশ দেখা যায়। পরে আমি মৃত শিশুর লাশের বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য কে অবগত করি।
যাদুর চর ইউপি সদস্য ইব্রাহীম খলিল জানান, মৃত শিশুর লাশ ভেঁেস আছে এ রকম তথ্য দিলে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি মৃত শিশুর লাশ কুচুরী ুপানার সঙ্গে ভেঁেস আছে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নিকঠস্থ থানায় মৃত শিশুর লাশের বিষয়টি ফোনে জানানো হয়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মৃত শিশুর লাশ নদীর পাশে এক খোলা পুকুরে ভেঁসে আছে এ রকম তথ্য স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাগেলে দ্রুত সেখানে এ এসপি স্যার ও আমাদের থানাপুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে এবং মৃত শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে মৃত শিশুর লাশ সুরুতহাল রির্পোট শেষে থানায় আনা হয়।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সহকারি পুলিশ সুপার (এ এসপি) সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে এক শিশু লাশ জিঞ্জিরাম নদীর পাশে এক খালে পাওয়া যায়। পরে মৃত শিশুর লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য-কলাবাড়ী গ্রামের হাছেন আলীর পুত্র ফরহাদ হোসেন (১৯) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে শিরিনার পরকীয়া চলে আসছিল। গত সোমবার ২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ফরহাদ শিরিনার বাড়িতে গেলে ওই গ্রামের সামছুল, আশরাফ আলীসহ অজ্ঞাতনামা অনেকেই ফরহাদকে আটক করে মারধর করে।
শিরিনা আতংকিত হয়ে তার ৭ মাসের কোলের শিশু রাকিবুল ও ৩ বছর বয়সের আয়শাকে নিয়ে বাড়ির পাশ্বের নদীতে জাপিয়ে পড়ে। নদীর প্রচন্ড ¯্রােতে তার হাত থেকে সন্তান দুটি ছুটে গেলে সে ভাসতে ভাসতে ১ কিলোমিটার দক্ষিনে কিনারে চাপে শিরিনা। কিন্তু দুই সন্তানের সন্ধান পায়নি।
পরে শিরিনা রাত ১২ টায় দুবলা বাড়ী গ্রামের আব্দুর রহমান মাষ্টারের বাড়িতে আসে। পরদিন মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শিরিনাকে রহমান মাষ্টার যাদুর চর ইউপি চেয়াম্যান শরবেশ আলীর নিকট জমা দেয়। পরে চেয়ারম্যান শিরিনাকে রৌমারী থানায় সোপর্দ করেন।