পূজার কাপড় পছন্দ না হওয়ায় ঝগড়ার জেরে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয় পাষণ্ড স্বামী। রোববার গভীর রাতে মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সোমবার স্বামী সঞ্জিত কুমার ঘোষ তার স্ত্রী কল্পনা রানী (২৫) নিখোঁজ হয়েছে বলে ঘিওর থানায় একটি জিডি করে। জিডির তদন্তের একপর্যায়ে হত্যার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। জিডি করার পর থেকে ঘাতক স্বামী মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দেয়। বুধবার তাকে নাগরপুর থানার এলাসিন গ্রামে খালার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। কল্পনা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘাতক স্বামী, শাশুড়িসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঘিওর থানা পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখার সময় বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত পুলিশ কল্পনার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।
এসআই হযরত আলী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার চানদলিয়া গ্রামের কালীপদ ঘোষের মেয়ে কল্পনা রানীর (২৪) সঙ্গে ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের মৃত নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সঞ্জিত কুমার ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই ছিল। তাদের ৬ বছরের একটি মেয়ে আছে। রোববার বিকালে সঞ্জিত কুমার ঘোষ দুর্গা পূজা উপলক্ষে পরিবারের সবার জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনে বাড়িতে আসে। এসব জামা-কাপড় স্ত্রীর পছন্দ না হওয়ায় উভয়ের মাঝে ঝগড়া হয়। স্বামী সঞ্জিত কুমার ঘোষ রাতে টিভি দেখতে থাকলে স্ত্রী তা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সঞ্জিত ক্ষিপ্ত হয়ে গভীর রাতে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে তার লাশ সিএনজিতে ঘিওর পশু হাসপাতাল সংলগ্ন বেইলি ব্রিজ থেকে ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেয়।
ঘিওর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, ঘাতক স্বামী সঞ্জিত কুমার ঘোষ ও তার মাকে নাগরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তেরশ্রী থেকে সঞ্জিত কুমার ঘোষের বন্ধু নির্মল সাহা (৪০), চিত্য ঘোষ (৩৫), বদ্যো সাহাকে (৪০) আটক করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া লাশ উদ্ধারের জোর তৎপরতা চলছে।