অপরাধ বিচিত্রাঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে সীমাহীন ভাবে চলছে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের মহোৎসব। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জামাত নেতা আবু ইউসুফ মৃধার নেতৃত্বে অপরাপর অসাধু অর্থলোভী শিক্ষক সিন্ডিকেট বছরে অন্তত অর্ধকোটি টাকা বেতন ভাতা বাবদ অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে। আবু ইউসুফ মাদ্রাসাটিকে তার নিজের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করে সরকারী অর্থ সহ সাড়ে আটশ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অজুহাতে লাখ লাখ টাকা আদায় করে এর বৃহত অংশ আত্মসাত করে প্রতিষ্ঠানটিকে অন্তঃসার শূন্যের কোঠায় পৌছে দেয়ায় স্থানীয় ফুসে উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক অপু মাধ্যমে দুর্নীতি পরায়ন অধ্যক্ষ আবু ইউসুফের সীমাহীন দুর্নীতির বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর নিকট একটি লিখিত করে। আবেদনের সুত্রে এমপি মহোদয় মানীয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বরাবর অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের চিঠি প্রেরন করলে আজ অবধি তার কোন তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাত্র জীবনে সক্রিয়ভাবে শিবিরের ক্যাডার নেতৃত্ব দিয়ে জামাতের রাজনীতির সুবাদে ১৯৯৪ সালের জানুয়ারী মাসে উক্ত মাদ্রাসায় যোগদানের পর শুরু করে অর্থ আত্মসাতের মিশন।সসরকারী বিধি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্তর এমপিও ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন স্কেলের কোন পরিবর্তন না হরেও আবু ইউসুফ তার বেতন ভাতা বাবদ মাসে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছে। প্রতি মাসে ৭ হাজার অর্থাৎ বছরে ৮৪ হাজার টাকা সে বেতন খাত থেকে উত্তোলন করে নিচ্ছে। এছাড়া অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহন, শিক্ষার্থীর ভর্তির সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায়, গাইড বই পাঠ্য করে বই কোম্পানীর নিকট থেকে অর্থ আদায় করে মাদ্রাসাটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। সুত্র জানায়, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ ২ লাখ ৩৫ হাজার ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে সহকারী কম্পিউটার শিক্ষককের অবৈধ পদ সৃষ্টি করে ভুয়া কম্পিউটার সার্টিফিকেটের অধিকারী রেজাউল করিমকে ২০০২ সালের জুন মাসে নিয়োগ দেন। যার বর্তমান বেতন স্কেল ২২ হাজার ১শ ৮০ টাকা। রেজাউল করিম বর্তমানে যেই স্কেলে বেতন উত্তোলন করে তা সম্পূর্ন রুপে সরকারী বিধিমালা বাহিরে। শর্তমতে রেজাউল করিমের বেতনের ১০ শতাংশ অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মাসোহারা গ্রহন করে। রেজাউল করিমের মতো ১২ টি অবৈধ পদ সৃষ্টি করে অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ উক্ত মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকা কমিশন আদায় করে যাচ্ছে।যার বিস্তারিত খতিয়ান পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে। এব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবু ইউসুউ বলেন, আমার বিরোদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন।