ফলোআপ রাজিবপুর বিএনপি ছাত্রদলের ৬ বখাটের কান্ড ১ ছাত্রীকে ৬ বন্ধুর গনধর্ষন, ধর্ষকদে শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন, ধর্ষিতা জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে চিকিৎসা নিচ্ছেন

0
514

,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বিএনপির ছাত্রদলের ৬ নেতার কান্ড। প্রেমের ফাদেঁ ফেলে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে মর্মান্তিক ভাবে গনধর্ষন করেছে ছাত্রদলের ৬য় বকাটে নেতা। প্রেমের ফাদেঁ ফেলে ঘরে নিয়ে বন্ধুর গনধর্ষণ করার ঘটনায় ধর্ষক খোরশেদ আলীরসহ ৬জনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তির ডাক বাংলাদেশ। সংগঠনটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে মোমবাতি ও প্রজ্জলন
করেন সংগঠনের সকল সদস্যরা। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তির ডাক বাংলাদেশের সকল সদস্যবৃন্দ। উল্লেখ্য,
প্রেমের সম্পর্কের ফাত পাতিয়ে কাচারিপাড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলী ২৪, আলামিন ২৫, আরিফুল ২৫, রুঞ্জ মিয়া ২৩,সামিম ২৫, নাজমুল হক ২৬সহ ৬য় জন মিলেই। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার এক কলেজ শিক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই দেখা করার কথা বলে খোরশেদ আলী। গত  মঙ্গলবার মোবাইলে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে আনেন। এরপর তাঁর বন্ধু একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের বাড়ির  একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে। একপর্যায়ে খোরশেদ আলী ও তাঁর ৫ বন্ধু মিলে ওই শিক্ষার্থীর মুখে কাপড় বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ ও মর্মান্তিক নির্যাতন চালাতে থাকে। ধর্ষণের একপর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পরলে এবং তাঁর রক্তক্ষরণ শুর হয়। খোরশেদ আলীর দুই বন্ধু আলামিন ও আরিফুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জররি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায়। ওখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে তারাহুরা করে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। জামালপুরও ধর্ষিতার চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না হলে তারাও উন্নত চিকিৎসার উদ্ধ্যেশে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফাট করেন। তাঁর ওপর যে একাধিকবার নির্যাতন চালানো হয়েছে, এটা নিশ্চিত। কমপক্ষে ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে ধর্ষিতার পরিবার সুত্রে জানা গেছে। উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে জামালপুরে পাঠানো হয়েছিল। তবে কিন্তু জামালপুরেও অসম্ভব বলেই ময়মনসিংহে  বর্তমান চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে গ্রেফতারের দাবীতে রাজিবপুর উপজেলা জূরেই আলোচনার ঝর বইতে শুরু করেছে। ধর্ষকরা সবাই রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে অভিযোগে জানা গেছে। অপরদিকে মর্মান্তিক গনধর্ষন ঘটনায় মাত্র একজনকে আটক করেছে রাজিবপুর থানা পুলিশ এবং ৬য় জনের নামে ধর্ষন মামলাও হয়েছে তারপর ৫ জনকে খোজা হচ্ছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here