ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বখাটেকে মোবাইলের লাইনে রেখেই গলায় ফাঁস দিলো মাদ্রাসা ছাত্রী। হৃদয় বিদারক ও মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বেগমগঞ্জ উপজেলার উপজেলার আমানতপুর গ্রামের ওয়াছেল উদ্দিন চেরাং বাড়িতে । নিহত ফারভিন আক্তার লুবনা(১৭) ওই বাড়ির মৃত আফজল হোসেনের মেয়ে ও বাংলাবাজার মহিলা মাদ্রাসার ৯বম শ্রেনীর ছাত্রী। খবর পেয়ে সোমবার রাত ৯ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। লুবলার মৃত্যুর জন্য এলাকাবাসী ও তার পরিবারের সদস্যা পাশ্ববর্তি নাজিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর ড্রাইভারের বখাটে পুত্র বাপ্পি(১৮)কে দায়ী করেছে। বাপ্পি চৌমুহনীর চৌরাস্তার জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও অনিয়মিত ক্লাস করতো। এলাকার বখাটে যুবকদের সাথে তার সখ্যতা ছিল। লুবনা মাদ্রাসায় যাওয়া আসার সময় বাপ্পি প্রায়ই তাকে উক্ত্যক্ত করতো বাপ্পি। বিয়সটি লুবনা তার পরিবারের সদস্যদের জানালে নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র লুবনার বিয়ে ঠিক করে। আগামী কুরবানের ঈদের পরেই তার বিয়ের কথা রয়েছে। এদিকে লুবনার বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বাপ্পি লুবনাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। ঘটনার ৬ মিনিট আগে লুবনাদের পারিবারিক মোবাইলে কল দেয় বাপ্পি। লুবনার মা ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় সেই মোবাইল রিসিভ করে লুবনা। মোবাইলে বাপ্পি হুমকি ধমকি দেওয়ায় তাকে লাইনে রেখেই লুবনা ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলে তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। এ নিয়ে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বখাটে বাপ্পির বিচার দাবী করেছে।
স্থানীয় বাসিন্ধা আল আমিন জানান, এই মেয়েটি অসহায় হলেও লেখা পড়ার প্রতি তার খুবই আগ্রহ ছিল। মাত্র ৬ মাস আগে বাবা মারা গেলেও শোকের মধ্যেই মেয়েটি পড়া লেখা চালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু বাপ্পির বখাটেপনার বলি হলো মেয়েটি।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে আমরা মর্গে পাঠিয়েছি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এদিকে সন্ধা ৭ টার দিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ উপজেলা দূর্গাপুর গ্রামের ছকিদার বাড়ি থেকে রফিক(১৭) নামের এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত রফিক ওই বাড়ির নুরু মিয়ার পুত্র। কি ভাবে রফিকের মৃত্যু হয়ে তার নিশ্চি করতে পারেনি পুলিশ।