বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা না পেলেও বাংলাদেশের রপ্তাণি বাণিজ্য বেড়েছে অনেক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান রপÍানি পণ্য তৈরী পোশাক রপ্তানিতে কোন জিএসপি সুবিধা প্রদান করতো না, ২০১৩ সালের হিসেব মতে তামাক, প্লাস্টিক, সিরামিক, টেবিলওয়্যারেরমত কয়েকটি পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে বাংরাদেশ আয় করেছে মাত্র ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু এগুলোর উপরই বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পেতো। জিএসপি সুবিধার বাইরে বর্তমানে বাংরাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় ৬ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। সিঙ্গেল কান্ট্রি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার। মন্ত্রী বলেন, জিএসপি সুবিধা স্থগিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৬টি শর্ত প্রদান করে। বাংরাদেশ নির্ধারিত সময়ে সে শর্ত পূরণ করে, এরপরও জিএসপি সুবিধার স্থগিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। বাংলাদেশ এখন আর জিএসপি সুবিধা দাবী করছে না। ডব্লিউটিও-এর প্রথম মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নতবিশ^ এলডিসি ভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি সুবিধা প্রদান করার কথা। বেশিরভাগ উন্নতদেশ এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে এ বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলেও বেশ কিছু উন্নত দেশ তা দিচ্ছে না। এমহুর্তে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম বাণিজ্যিক অংশিদার।
মন্ত্রী আজ (০৩ আগষ্ট) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে আমেরিকা- বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স(অ্যামচ্যাম) আয়োজিত রিফ্লেকশনস অন দি ইউএস-বাংলাদেশ রিলেশনশিপ শীর্ষক লান্স মিটিং-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গেষ্ট অফ অনার ও স্পিকার হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট, মার্কিন সরকারের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরামর্শক ফ্রাং জি. উইসনার(ঋৎধহশএ. ডরংহবৎ)।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও-এর মিনিস্টিটিরিয়াল কনফারেন্সে উন্নত বিশে^ এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল বা ট্রিপ চুক্তির মেয়াদ ১৭ বছর বৃদ্ধির প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশ চায় সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যেতে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংরাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সফল ভাবে এমডিজি অর্জন করে জাতিসংঘে পুরষ্কৃত হয়েছে। এসডিজি অর্জনে সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যথাসময়েই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে। একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি ও দরিদ্র দেশের মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন, আজ তারাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিশ^য় বলছেন। বিশ^ব্যাংসহ সকল অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার কথা বলছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামী ২০২১ সালে দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হবে।
আমেরিকা- বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স(অ্যামচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাস্ট্রদূত গধৎপরধ ইবৎহরপধঃ বক্তৃতা করেন।