বেসিক ব্যাংকের ৪০ কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির মামলা তদন্ত করে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আদালত ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ও তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১০ সালে ওই ঋণ অনুমোদনের সময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুল হাই বাচ্চু। এ মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে করা দুদকের রিভিশন আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট পঙ্কজ কুন্ড। মামুন মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১০ সালের ২ নভেম্বর ক্রেডিট কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ও পরিচালনা পর্ষদ সৈয়দ ট্রেডার্সের ম্যানেজিং পার্টনার সৈয়দ মাহবুবুল গণিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন দেয়। ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে এ ঋণ দেয়া হয়। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে দুদক। ঋণ গ্রহীতা সৈয়দ মাহবুবুল গণি, রূপসা সার্ভেয়ার কোম্পানির চিফ সার্ভেয়ার শাহজাহান আলীসহ নয়জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়। কিন্তু আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। গত বছরের ১০ আগস্ট গ্রেফতার হন শাহজাহান আলী। পরে তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন নেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ডিভিশনে আবেদন করে দুদক। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।