ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক মিশর থেকেও পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে দ্রুত খালাসের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ

0
1280

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আসন্ন ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে পিঁয়াজ,লবন, আদা, রশুনসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পিঁয়াাজ প্রতিবেশি দেশ থেকে আমদানি করা হয়। বন্যার কারনে সেখানেও পিঁয়াজের দাম বেশি। সে কারনেই আমদানিকৃত পেয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে। বিকল্প স্থান হিসেবে মিশর থেকে পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে এ গুলো বাজারে আসবে। অগ্রাধীকার ভিত্তিতে মিশর থেকে আমদানিকৃত পিঁয়াজ ছাড় করণের জন্য চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদ উল আযহায় চামড়ায় ব্যবহার এবং ভোজ্য লবনের চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ লাখ মেট্রিক টন লবন আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশের চলমান ২৩২ টি লবন মিলকে ২১৫০ মেট্রিক টন করে লবন আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের লবন উৎপাদনকারি ও মিল মালিকরাও রয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১০ আগষ্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষ্যে পিঁয়াজ, রসুন, আদা, গরম মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবসাবান্ধব সরকার ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ব্যবসায়ীরাও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন। পবিত্র ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে যাতে কোন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখাতে হবে। তিনি দেশের প্রচারমাধ্যম তথা সাংবাদিকদের দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার আহবান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদ উল আজহায় কোরবাণীর গরুর সংকট হবে না। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে এখন দেশে পর্যাপ্ত গরু উৎপাদন হচ্ছে। দেশের চাহিদা পূরণের জন্য  বিদেশ থেকে আর গরু আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। একই ভাবে সরকার পিঁয়াজ ও লবন উৎপাদনে স্বয়ং সম্পন্ন হবার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ স্বয়ং সম্পন্ন হবে। দেশের চাহিদা মোতাবেক এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখন আর বিদ্যুতে লোডসেডিং নেই।
এ সময় বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, আমদানি ও রপ্তানি অধিদফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক আফরোজা খানসহ বাণিজ্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মালিক ও প্রতিনিধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কারকগণ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here