ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে জেলা জজ আদালতের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইবুনালে মারা যাওয়ার প্রায় চার বছর পর এক মৃত ব্যক্তির নামে আপিল মামলা দায়ের করেছে সরকার পক্ষের ভিপি আইনজীবী। এ নিয়ে ভোলায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) আদালতের জারিকারক ওই লোক মারা যাওয়ায় তাকে না পেয়ে নোটিশটি আদালতে ফেরত দিয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ০৯ মে ২০১৭ইং তারিখে উক্ত আদালতে অর্পিত মামলা নং-৭০৫/১৪ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী দেয়া রায় ও ২৬ জানুয়ারী দেয়া ডিক্রির উপর রমেন্দ্র নারায়ন দে কে বিবাদী করে একটি আপিল মামলা করেন সরকার পক্ষের উকিল ভিপি কৌশুলী মো. জাকির হোসেন। যার নং- ২৫/২০১৭। এমনকি মামলার সাথে বিকাশ চন্দ্র দে ও বিপ্র চন্দ্র দে’র নামে তারিখ ছাড়া বোরহানউদ্দিন উপজেলা ভূমি অফিসের একটি ডিসিআর দাখিল করে।
আরও জানাযায়, রমেন্দ্র নারায়ন দে’র নিলাম খরিদ করা ভোগদখলীয় বোরহানউদ্দিন উপজেলার চকঢোষ মৌজার ২১৫২/২১৪৪ দাগের ৪১ শতাংশ জমি নিয়ে ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারী অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইবুনালে সরকারের বিপক্ষে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারী মামলার বাদী রমেন্দ্র নারায়ন দে মারা যায়। তার মৃত্যুতে ওয়ারিশ সূত্রে তার দুই ছেলে চিন্ময় দে ও হিরন্ময় দে আদালতে মৃত্যু সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে বাদী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করে আসছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আদালত বাদী চিন্ময় দে ও হিরণ¥য় দে’র পক্ষে রায় প্রদান করে। এবং ২৬ জানুয়ারী অর্পিত মামলাটির ডিক্রিও প্রদান করা হয়। সেই সাথে একই আদালতে একই ভূমি নিয়ে এনালগাস ৮৭৫/১৪ মামলাটি খারিজ করে দেয়।
এ ব্যাপারে রমেন্দ্র নারায়ন দের ছেলে ও মামলার বাদী চিন্ময় দে বলেন, বাবার মৃত্যুর পর আদালতে মৃত্যুর সনদ দাখিল ও ওয়ারিশ কাইমমোকাম করে মামলাটি চালিয়ে আমরা রায় পেয়েছি। কিন্তু এই মামলার আরেক পক্ষের বাদী সুভাষ চন্দ্র দে, গোপাল চন্দ্র দে, নয়ন চন্দ্র দে ও বিকাশ চন্দ্র দে, বিপ্র চন্দ্র দে সরকার পক্ষের উকিল মো. জাকির হোসেনকে দিয়ে আমার বাবার নামে মারা যাওয়ার প্রায় চার বছর পর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করিয়েছে। এ মনকি পূর্বের মামলাটি সরকার পক্ষে ভিপি কৌশুলী হিসেবে মো. জাকির হোসেন পরিচালনা করেছে এবং বাবার মৃত্যু নিশ্চিত জেনেই সে এ মিথ্যা আপিল মামলা দায়ের করেছেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ভিপি কৌশুলী মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলটি অনেক দিন আগের হওয়ায় টাইপে ও বিবাদীদের দেয়া তথ্যে নাম ভূল হতে পারে। তবে কাগজপত্র দেখে বলা যাবে।