ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদীর ২নং ওয়ার্ড চরকুমারিয়া মৌজার মোঃ ইউনুস গংদের পৈত্তিক এক একর ২০শতাংশ ভোগদখলীয় সম্পত্তি পাশ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা আলি আশ্রাফ, নুরমোহাম্মাদ, গং’রা জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরে জমিনে ঘুরে ঘুরে জানাযায়, ওই সম্পত্তির মালিক হলেন, ইউনুস মোল্লা, মোসলেহউদ্দিন মোল্লা, রোকেয়া বেগম, মাসুমা খাতুন, ওয়াহিদা খাতুন, ছালেম মোল্লা, আবেদীন মোল্লা। পিতা মৃত জয়নাল আবেদীন মোল্লা। সর্ব সাং ২নং ওয়ার্ড ভোলা উত্তর দিঘলদী চরকুমারিয়া। এস.এ খতিয়ান নং ৪০২, হাল দাগ ৫৭৬, এস.এ মৌজা নং ১৯। জমির পরিমান ১একর ২০ শতাংশ। দীর্ঘ একশ বছর যাবত ইউনুস গংদের পৈত্তিক সম্পতি বলে জানাযায় (দাদা থেকে বাবা, বাবা থেকে ছেলে) ভোগ করে আসছে। ইউনুস গংদের পিতা জয়নাল আবেদিন এর মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সুত্রে ওই জমির মালিক হয় ইউনুস গং’রা। এরপরে রেকর্ড সুত্রে আসে ইউনুস গং’রা। মিথ্যা ভুয়া দলিল দেখিয়ে ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আলি আশ্রাফ, নুরমোহাম্মাদ, গং’রা। আলি আশ্রাফ নুরমোহাম্মাদ গং’রা ওই জমি কোন মতেই পাবে না বলেও জানান এলাকাবাসি। এই সম্পত্তি ইউনুস গংদের দাদা ও বাবা ভোগ করে আসছে। এরপরে ছেলেরা ওয়ারিশ সূত্রে এসে বাড়িঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ অনেক বছর বসবাস যাচ্ছে। আমাদের জানামতে নুরমোহাম্মাদ গং’রা ওই সম্পত্তির মালিক না।
এবিষয়ে ইউনুস গংদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মোট জমির পরিমাণ এক একর ২০ শতাংশ। আমার দাদা এই জমির মালিক ছিলেন। দাদা মারা যাওয়ার পর আমার বাবা জয়নাল আবেদীন জমির মালিক হয়। আমাদের বাবা মৃত্যুর পর আমরা ওয়ারিশ সুত্রে জমির মালিক হয়েছি এবং আমাদের নামে রেকর্ড হয়েছে বাড়িঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ অনেক বছর বসবাস করছি।
এবিষয়ে, নুরমোহাম্মাদ আলী আশ্রাফ গংদের কাছে জানতে চাইলে, তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয় নি। ভুয়া দলিলের বিষয়টি জানতে চাইলে তারা এরিয়ে যান।