ভোলা লালমোহন থানার ‘ওসির অত্যাচারে অতিষ্ঠ’ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

0
464

 ভোলা প্রতিনিধি॥ লালমোহন থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানী করার কারণে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। গতকাল লালমোহন প্রেসক্লাবে সকাল ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধ মোঃ শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া ও বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া।
এসময় তারা লিখিত অভিযোগ পাঠে বলেন, গত মঙ্গলবার ২১-০৮-২০১৭ ইং তারিখে রাত ১১ টার দিকে আমাদের এলাকায় লালমোহন থানার ওসির নেতৃত্বে ২৫/৩০টি হোন্ডা ও একটি মাইক্রোবাসসহ ভয়ংকর শব্দ করে এলাকার মধ্যে তান্ডব সৃষ্টি করে। পরে তারা আমাদের বাড়ীর ভিতরে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে এবং পাশর্^বর্তী বাড়ীতে প্রবেশ করে শাহীদা বেগম, নাজমা বেগম, শাহিনূর বেগম নামের ৩ জন মহিলা ও মিরাজ নামের ১ জন পুরুষকে আটক করে। আটককৃত শাহীদা বেগমের সাথে সে সময় ৪ মাসের একটি শিশু বাচ্চা ছিলো। মহিলাদেরকে ঘর থেকে বাহির করে জোরপূর্বক ইয়াবার একটি প্যাকেট দিয়ে তাদের সেখানে ছবি তুলে থানায় নিয়ে আসে ওসি হুমায়ুনের ফোর্স। পরে তাদের থানায় নিয়ে এসে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে প্রকাশ করে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে। আমি মনে করি ওসি হুমায়ুন আমাকে ও আমার বংশের বিভিন্ন লোক ও অনুসারীদের দমনের মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী বংশের উপর কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টায় ওসি ব্যস্ত রয়েছেন। ইতিপূর্বে আমার এলাকা থেকে আমার দু’জন লোককে ধরে থানায় এনে ১০ পিস করে ইয়াবা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরিকল্পীতভাবে ধরার সময় স্থানীয় কোন স্বাক্ষী প্রমানের প্রয়োজন পড়ে না তার। লোকজনদের থানায় নিয়ে ওসির ইচ্ছামত স্বাক্ষী দেখিয়ে চালান দেওয়া হয়। এসময় তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ওসি লালমোহনের নানা রকম অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। প্রতিদিন গভীর রাতে একটি প্রাইভেটকারে একা একা লর্ডহার্ডিঞ্জের দক্ষিণে নদীর পারে ঘুরাফেরা করে। যতদুর জানা যায়, নদীর ওপার থেকে শত শত চোরাই গরু ছাগলের  ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা উত্তোলনের জন্য তার এই যাতায়াত।
উল্লেখ্য, গত ২১-০৮-২০১৭ ইং তারিখে যে ৩ জন মহিলাকে ধরে এনে চালান দেওয়ার ব্যবস্থা করে ছিলো, পরবর্তীতে ঘটনা বেগতিক দেখে পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময় তাদেরকে ছেড়ে দেয়। আমরা উক্ত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে, গত কযেকমাস আগে লালমোহর রমাগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত ছালামত মাঝির ছেলে সৌদি প্রবাসী মোঃ লোকমান নামের লোকটিকে ৩দিন থানায় আটক রেখে ২লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করেন ওসি হুমায়ন। ওই প্রবাসী ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওসি লোকমানকে একটি চুরি মামলার আসামি করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক ভুক্তভগীরা বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এসে ওসির বিরুদ্ধে বিচার দেয়।
এবিষয়ে, লালমোহন থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি হুমায়ন কবীরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলন ও আপনি দেন আর ওসির বক্তব্যও আপনি দেন। লালমোহন থানার ওসি দুইদিন ধরে অসুস্থ কোথাও বের হয়নি।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here