অপরাধ বিচিত্রা অনলাইন প্রতিবেদক: ভোলায় চার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এবং এক ভুয়া চিকিৎসকের কাছ থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বরিশাল র্যাব ৮ যৌথ অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু ও র্যাব ৮ এর সহকারী পরিচালক এএসপি আওয়াল হোসেন। এ সময় সিভিল সার্জনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডা. মাজাহারুল ইসলাম। নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শহরের মুসলিম পাড়ার পদ্মা নার্সিং হোমের মালিককে ৫০ হাজার টাকা, বাংলাস্কুল মোড়ের মেডিকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ৫০ হাজার টাকা, যমুনা মেডিক্যাল সেন্টারের মালিককে ৫০ হাজার টাকা ও পশ্চিম মুসলিম পাড়ার মাতৃ নিলয় নার্সিং হোমের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, লাইসেন্স ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ না থাকায় ওই সব ক্লিনিকের মালিকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ক্লিনিক মালিকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে রোগীদেরকে জিম্মি করে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪-৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অনেক মেডিক্যাল সেন্টার ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, নিয়ম নীতি না মানায় অনেক মেডিক্যাল সেন্টার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স নবায়ন বা দেওয়া হয়নি। এদিকে, ডা. মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ নিজেকে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক পরিচয় দেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুনে এমনকি তার ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখ রয়েছে তিনি আমেরিকা ও থাইল্যান্ড থেকে অর্থপেডিকস বিষয়ের ওপর বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। কিন্তু ওইসব ডিগ্রির বিপরীতে তিনি কোনও সনদ দেখাতে পারেননি। তিনি অবশ্য নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন রোগীরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত ডা. মো. সাইফুল ইসলাম সাইফকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ভোলায় চার ক্লিনিকের মালিক-চিকিৎসককে জরিমানা
Advertisement
Advertisement