মন্দাবস্থার প্রভাব পড়েছে আবাসন খাতের সহ-শিল্পখাতে

0
448

অনলাইন ডেস্ক: আবাসন খাতের গতিহীনতার কারণে বিপাকে পড়েছে এ খাতের সঙ্গে জড়িত দু’শতাধিক সহ-শিল্পখাত। ফলে একদিকে যেমন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না তেমনি অনেকের কর্মহীন হবার ঝুঁকিও বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রড সিমেন্ট, টাইল্স ও সেনিটারি সামগ্রীরমতো খাতগুলোকে বাঁচাতে হলে নজর দিতে হবে গৃহনির্মাণ খাতের প্রতি। অবকাঠামো নির্মাণে জরুরি উপাদান- রড। উন্নত অবকাঠামোর জন্য প্রয়োজন উন্নত মানের রড। দেশে এই শিল্প এখন অনেকটাই এগিয়েছে।মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ২৮ বছর ধরে। তার দাবি, ক্রমান্বয়ে কমছে রডের চাহিদা। তার মতে, গত কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা আবাসন খাতের মন্দা এর একটি বড় কারণ। মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, আবাসন শিল্পের মন্দার কারণে বিগত ৫ বছর যাবত আমাদের সেক্টরে খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। ৮০ লক্ষ টনের জায়গায় আমরা ৫০ লক্ষ টন বিক্রি করছি। দফায় দফায় গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। গৃহনির্মাণ খাতের গতিহীনতার কারণে একইভাবে ধুঁকছে টাইল্স ও সেনিটারি মার্কেটগুলো। ফাঁকা দোকানে ক্রেতার আশায় সময় কাটছে বিক্রেতার, এমন চিত্র বেশ পরিচিত। বিক্রেতার বলেন, ডেভলপারদের সঙ্গে আমরা যখন কাজ করতে যায়  তারা বলে ওদের বিক্রি হচ্ছে না। তাদের ব্যবসার সঙ্গে আমাদের এও পন্য বিক্রি জড়িত। এতে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।এ খাতে জড়িতরা বলছেন, অবিক্রিত ফ্ল্যাটের জটিল জটে ধুঁকছে যেমন আবাসন খাত, তেমনি এর সহশিল্পগুলোও ধুকছে দীর্ঘদিন ধরে। তাই সরকারের কাছে নীতি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা। শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। নিতিমালা আইন ভ্যাট ট্যাক্সের ক্ষেত্রে চিন্তা করে করা উচিত। রিহ্যাবের সহ সভাপতি বলেন, আবাসন খাতের সঙ্গে ৩৫ লক্ষ মানুষ জড়িত। তাই সব বিবেচনা করে কোন কারণে এই খাতের গতি কমে গেলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। সম্ভাবনাময় এ খাতকে বিশেষ প্রণদনা দিয়ে হলেও টিকিয়ে রাখার দাবি সংশ্লিষ্ট সব মহলের।-

Advertisement

 

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here