মাদক বেচাকেনা করে কোটি টাকার মালিক

0
786

মাদক বেচাকেনা করে শূন্য থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে রাজধানীর গোপীবাগের দুর্ধর্ষ ফেরারি আসামি নাসির, সায়েদাবাদের টু-া বুদ্দিন, পল্টনের সোর্স জাকির। মাদকসম্রাটখ্যাত এই ফেরারি আসামিরা মাদক বিক্রির অর্থে গড়ে তুলেছে নানা ব্যবসা। কেউ গড়েছে সিএনজি পাম্প, ট্রান্সপোর্ট, বাস-ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের ব্যবসা। এলাকায় বানিয়েছে সুউচ্চ অট্টালিকা। বিদেশে বসে স্কাইপের মাধ্যমে সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের কেউ কেউ। টিটিপাড়ার সিএনজি পাম্পের দোতলায় ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ইতালিতে অবস্থান করা ১৯ মামলার ফেরারি আসামি নাসির ব্যবসা পরিচালনা করছে। সিএনজিপাম্প, ট্রান্সপোর্ট, বাস-ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের ব্যবসা ছাড়াও টিটিপাড়ায় নাসিরের রয়েছে ৬টি পাঁচতলা বাড়ি। যেগুলোতে বাস করে তার নিজস্ব সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। ভারতে আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যবসা চালায় টু-া বুদ্দিন। ১১ মাামলার ফেরারি আসামি বুদ্দিন স্বামীবাগে গড়ে তুলেছে দুটি ৬তলা বাড়ি। সায়েদাবাদে আছে ট্রান্সপোর্ট, বাস-ট্রাকের ব্যবসা। নয়াপল্টনে সোর্স জাকির লোকজন দিয়ে রিকশায় খদ্দেরদের কাছে মাদক পৌঁছে দেয়। মাদকের টাকায় খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় ২৬/১ নম্বরে বাড়ি বানিয়েছে এই সন্ত্রাসী জাকির। কাঁচপুরে কিনেছে কয়েক বিঘা জমি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর পাঁচ শতাধিক মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ করছে দুর্ধর্ষ ১২শ’ ফেরারি আসামি। পুলিশের খাতায় পলাতক এই ফেরারি আসামিরা ‘ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা ও ইয়াবার স্পট’ বানিয়ে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনার আলাদা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। মাদক বেচাকেনা, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ নানা অভিযোগে ১৫/২০টি করে মামলা থাকলেও মাদক বেচাকেনার আখড়া বসিয়ে প্রকাশ্যে ব্যবসা করছে। মাদকসম্রাট দুর্ধর্ষ এ অস্ত্রবাজদের নাম ও আখড়াগুলোর তালিকা রয়েছে পুলিশ, গোয়েন্দা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে, বছর শেষে সেই তালিকা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চলে প্রশাসনের। আটক করা হয় খদ্দের ও নিরপরাধ পথচারীদের। সোর্সদের মাধ্যমে পথচলা মানুষের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়েও গ্রেফতার-হয়রানির অসংখ্য নজির রয়েছে। তবে বরাবরই মাদকের মূল বেপারীরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে, বহাল তবিয়তে। এমনকি মাদকস্পটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গডফাদারদের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলা, খুন-খারাবি, বন্দুকযুদ্ধ পর্যন্ত চলে। মূল ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বারবার অভিযান চালিয়েও মাদকের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যায় না। মাদকস্পটগুলো থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা পাওয়ায় পুলিশ অভিযানে আগ্রহ দেখায় না বলে অভিযোগ আছে। থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের মাদকস্পটের তালিকায় বিস্তর ব্যবধান : পুলিশ সদর দফতরের এক তালিকায় দেখা যায়, ডিএমপির বিভাগ অনুযায়ী রমনায় ৫৩, লালবাগে ৫৭, ওয়ারীতে ৭৭, মিরপুরে ৫৬, গুলশানে ২৫, উত্তরায় ৪০, মতিঝিলে ২২ ও তেজগাঁওয়ে ২৫টি চিহ্নিত মাদকস্পট রয়েছে। থানার পুলিশ অনেক স্পটের তথ্যই এড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী মাদকস্পটের সংখ্যা রয়েছে ৫০০-এর বেশি। হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী রমনা জোনের রমনা মডেল থানা এলাকার মাদকস্পটগুলো হচ্ছে দিলু রোডের পশ্চিম মাথা, মগবাজার রেলক্রসিং সংলগ্ন কাঁচাবাজার, আমবাগান চল্লিশঘর বস্তি, পেয়ারাবাগ বস্তি, মধুবাগ ঝিলপাড়, মালিবাগ রেলক্রসিং থেকে মগবাজার রেলক্রসিং। শাহবাগ থানার ফুলবাড়িয়া সেক্রেটারিয়েট রোডের আনন্দবাজার বস্তি, ওসমানী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর, টিএসসি, তিন নেতার মাজার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কাঁটাবন এলাকার ভাসমান বিক্রয় স্পট। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় জজ মিয়ার বস্তিতে সবচেয়ে বড় মাদকস্পট। এখানে হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক পাওয়া যায়। এই বস্তিতে ৩০-৪০টি ঘর আছে। সব ঘরেই মাদক বিক্রি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। লালবাগের শহীদনগর ১ থেকে ৬ নম্বর গলি, মৌলভীবাজার কাঁচাবাজার ও বলিয়াদি হাউস এলাকা, বালুরঘাট বেড়িবাঁধ, ঢাকেশ্বরী মন্দিরসংলগ্ন পিয়ারী বেগমের বাড়ি, শহীদনগর পাইপ কারখানা, বুয়েট স্টাফ কলেজের পেছনে, নবাবগঞ্জ পার্ক, রসুলবাগ পার্ক, আজিমপুর কবরস্থানের আশপাশ, আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতালসংলগ্ন এলাকা। কোতোয়ালি থানার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এবং কর্মচারীদের স্টাফকোয়ার্টারের আশপাশ, সামসাবাদের জুম্মন কমিউনিটি সেন্টারের আশপাশ, কসাইটুলি কমিউনিটি সেন্টারের আশপাশ, বাবুবাজার ব্রিজের ঢালে, বুড়ির বাগান, স্টার সিনেমা হলের সামনে, নয়াবাজার ব্রিজের ঢালে, নয়াবাজার ইউসুফ মার্কেট, চানখাঁরপুল ট্রাকস্ট্যান্ড, নিমতলী মোড়, আরমানিটোলা স্কুলের আশপাশসহ ২০টি স্পটে মাদক বিক্রি হয়। কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার ট্যানারি পুকুরপাড়, পাকাপোল, কয়লাঘাট বেড়িবাঁধসহ ১৮টি স্পটে মাদক বিক্রি হচ্ছে। সূত্রাপুরে স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে রেললাইন সামাপাড়া বস্তি, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরীক্ষাগার অফিসের পশ্চিম পাশে, কাপ্তানবাজার মুরগিপট্টি, ধূপখোলা মাঠ, মুন্সিরটেক কবরস্থান, যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুর সিটি পল্লী, ওয়াসা বস্তি, আইডিয়াল স্কুল গলি, নবুর বস্তি, বউবাজার গলি, লিচুবাগানসহ ২৮ স্পটে মাদক বিক্রি হয়। শ্যামপুর থানা এলাকার জুরাইন রেলগেট, ব্রাদার্স ক্লাবসংলগ্ন মাঠ, ধোলাইখাল, নোয়াখালীপট্টি, মুরাদপুর মাদ্রাসা লেন, বেলতলা, শ্যামপুর বাজারসহ ৩০টি মাদকস্পট রয়েছে। এছাড়া ডেমরা থানা এলাকায় ছয়টি, মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আটটি, পল্লবী থানা এলাকায় ২৪টি, কাফরুল থানা এলাকায় ১০টি, শাহআলী থানায় চারটি, বাড্ডায় পুলিশের তালিকায় কোনো মাদকস্পট না দেখানো হলেও গোয়েন্দা তালিকায় ১৪টি, ভাটারা থানা এলাকায় তিনটি, খিলক্ষেত থানা এলাকায় পাঁচটি, ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় তিনটি, উত্তরা মডেল থানায় ৯টি, বিমানবন্দর থানা এলাকায় ৩টি, তুরাগ থানা এলাকায় আটটি, উত্তরখান থানা এলাকায় ১১টি ও দক্ষিণখান থানা এলাকায় ১৩টি স্পটে মাদক ব্যবসা চলছে নির্বিঘেœ। রাজধানীর প্রধান স্পটগুলোর মধ্যে আনন্দবাজার বস্তি অন্যতম। এখানে রয়েছে মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবে চিহ্নিত বানুর মাদকস্পট। এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নিমতলী বস্তির সাবিনা ও পারুলের। পাইন্যা সর্দারের বস্তির রেণু, গণকটুলির মনোয়ারা রহমান নাছিমা, শ্যামপুরের ফজিলা, রানী বেগম এবং পারুলী। শাহীনবাগের পারভীন, তেজকুনিপাড়ার সনি, হিরা, নাসিমা। হাজারীবাগের স্বপ্না, কলাবাগানের ফারহানা ইসলাম তুলি, চানখাঁরপুলের পারুল, বাড্ডার সুমি, রামপুরার সীমা, শাহজাহানপুরের শামীম হক মুক্তা বিশেষভাবে ড্রাগ কুইন বা মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবে চিহ্নিত। এদের নানাভাবে সহযোগিতা করে মাদকসম্রাট দাইত্যা বাবু, ডাইল আশরাফ, মতি, মিন্টু, দস্যু ইব্রাহিম, নুরনবী মুকুল আলম, রুবেল, সাত্তার সাহাবুদ্দীন, সন্ত্রাসী জলিল, কানা সেলিম ও ন্যাটা মাসুদ। মহাখালীর আলোচিত মাদকসম্রাজ্ঞী হলো জাকিয়া ওরফে ইভা, রওশন আরা বানু। বনানীর শীর্ষ মাদকসম্রাজ্ঞী আইরিন ওরফে ইভা। মহাখালীর সাততলা বস্তি, রেলগেট, ঘিটুর বস্তি এলাকা, মহাখালী টার্মিনাল এলাকায় প্রতিদিন ১ লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয়। শীর্ষসন্ত্রাসী কালা সুমন, ল্যাংড়া কাজল, আতা এখানকার মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করে। গুলশানের অতি পরিচিত মাদকসম্রাজ্ঞী মৌ এবং বারিধারার নাদিয়া ও যূথী। উত্তরার গুলবাহার, নাদিয়া এবং মাহমুদা ওরফে মুক্তি। এদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। বনানী থানার সাততলা বস্তি এলাকায় জামরুল, কামরুল, সীমা, পিংকু, রুমা, রুবেল, জামাই নাজিমুদ্দিন, সোহেল জমজমাট মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। মহাখালী বন ভবন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে হাসান ও তার ভাই হোসেন। মহাখালী বাসস্ট্যান্ড পয়েন্টে রিজু, মানিক, গেন্দা বাবু গড়ে তুলেছে পাইকারি মাদক সরবরাহ। কড়াইল বস্তিতে প্রধান মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে চি?িহ্নত রয়েছে রিনা, জোসনা, মাস্টার আলমগীর, জলিল, বেলতলার ফুল মিয়া, বিউটি, নূরুসহ ৭-৮ জন। তাদের সবার বিরুদ্ধেই মাদকসংক্রান্ত ২০-২২টি করে মামলা আছে। গ্রেফতার ও হাজতবাসও করেছে কয়েক দফা। তার পরও তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যায়নি।

Advertisement

মোবাইল ও রিকশায় করে মাদক ব্যবসা : রাজধানীতে শুরু হয়েছে অভিনব কায়দায় মাদক ব্যবসা। পল্টন, কাকরাইল, ফকিরেরপুল, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, মালিবাগ, জিয়া উদ্যান ও সংসদ ভবন ঘিরে চলছে মোবাইল ফোনে মাদক ব্যবসা। পল্টন, কাকরাইল, ফকিরেরপুল, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে সোর্স জাকিরের লোকজন। মাদকসেবীরা মোবাইলে অর্ডার দিলে তাদের কাছে মাদক পৌঁছে দেয়া হয়। এই এলাকাগুলোতে জাকিরের মাদক ফেনসিডিল ও ইয়াবা ক্রেতার কাছে রিকশাযোগে পৌঁছে দেয় দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা আক্তার, রিপন, লিটনসহ আরো ৭-৮ জন। সন্ধ্যার পর জিয়ার মাজারের আশপাশের এলাকায় ভাসমান পতিতাদের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে মাদকসম্রাজ্ঞী পারুল ও অজুফা।

মাদকসম্রাজ্ঞীরাও নিয়ন্ত্রণ করে ৭০টি স্পট : রাজধানীর ৭০টি স্পট নিয়ন্ত্রণকারী মাদকসম্রাজ্ঞীরা হল- নূরজাহান, রাশিদা, রুবিনা, মর্জিনা, ফাতেমা, লিপি, মদিনা, জোহরা সেলিনা, রাবেয়া, হাসি, শাহনাজ, পারুল, বিলকিস ওরফে মৌ, বেগম, অজুফা, পারুলী, রানী, মমতাজ, ফজিলা, রাবেয়া। অন্যদিকে অভিজাত এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা হলো- জ্যোৎস্না, জবা, লিপি, রুপা, রুবি, তানিয়া শোভা, জয়া, মলি, বিউটি, রিতা, নীলা, ন্যান্সি-কুমকুম মনি, বিউটি ওরফে হাসি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী এসব সম্রাজ্ঞীর একেকজনের বাহিনীতে রয়েছে ১০-১২ জন সদস্য। প্রায় ২০০ সক্রিয় মহিলা মাদককর্মী রয়েছে এসব বাহিনীর সঙ্গে। পুরান ঢাকা মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। লালবাগের আলোচিত মাদকসম্রাজ্ঞী মনোয়ারা আর ইসলামবাগের ছাফি। এছাড়া মুন্নি, টগর, তামান্না ও ময়ূরীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজ করে।

মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রেই চলছে মাদকের ব্যবসা : অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারিভাবে অনুমোদন আছে মাত্র ৫৭টি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের। কিন্তু বাস্তবে সারা দেশে কথিত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। এগুলোর তালিকা করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আখ্যায়িত করে কেউ কেউ সমাজসেবা অধিদফতর, ঢাকা সিটি করপোরেশন বা মানবাধিকার সংগঠনগুলো থেকে অনুমোদন নিয়েই ব্যবসা করছে। রাজধানীর বিভিন্ন নিরাময় কেন্দ্র সম্পর্কে বেশ কজন মাদকাসক্ত চিকিৎসা শেষে অভিযোগ করেছেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোতেই চলছে মাদকের ব্যবসা।
পুলিশ কমিশনার বললেন… : ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেছেন, নারী মাদক ব্যবসায়ীদের বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এরা অনেকটা নিরাপদ বলেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের এ পথে নিয়ে আসছে। মহিলা অপরাধীদেরও তালিকা তৈরি হয়েছে। পুরুষ বা মহিলা যে-ই হোক না কেন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here