পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে স্থায়ী সমাধান চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যথাযথ পদক্ষেপও কামনা করেছেন তিনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠককে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পদ্মায় সেসব দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের ডেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যেন ভূমিকা রাখে সে ব্যাপারে আবেদন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা বাংলাদেশের প্রতি তাদের সহমর্মিতা ও সমর্থনের কথা জানান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘কীভাবে কী বলতে হবে, কী করা উচিত, এ দেশ কী চায়- এসব নিয়েই কথা হয়েছে। বাংলাদেশ চায় যে রোহিঙ্গারা তার নিজের দেশে ফেরত যাক। বাংলাদেশ চায় শান্তিপূর্ণ সমাধান। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ করতে চায় না। কারো সঙ্গে কোনো কনফ্লিক্ট সিচুয়েশন বাংলাদেশ চায় না।’ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো দ্বন্দ্বে জড়াতে চায় না। এ সংকটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। আর এ ব্যাপারে আগামীকালের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যথাযথ ভূমিকাও প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো- এমনভাবে কিছু একটা ব্যবস্থা করবেন যাতে তারা (রোহিঙ্গারা) নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারে, তাদের নিজেদের দেশে।’বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীনের ঢাকায় নিযুক্ত কুটনীতিকরা। আর অস্থায়ী ১০ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ঢাকায় দূতাবাস রয়েছে এমন চার দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। দেশগুলো হলো ইতালি, জাপান, মিসর ও সুইডেন।