মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধঃ রৌমারীতে সপ্তাহ ব্যাপি টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে হাজার- হাজার একর রোপা আমন ধান। রোপা আমন রোপনের পর অবশিষ্ট বীজ-তলাও তলিয়ে গেছে বানের পানিতে। ধান তলিয়ে যাওয়ায় হতাস হয়ে পড়েছেন কৃষক। গতবছর দফায়-দফায় বন্যার কারনে কারণে রৌমারীতে রোপা আমন চাষ হয়নি। ইড়ি-বোরো চাষেও ধানের শীষ মড়া রোগসহ নানা নুতন রোগে আক্রান্ত হয়ে তেমন ফলন হয়নি ধানের। বছর জুরে কৃষকের চলে আসছিল নিত্যদিনের অভাব-অনটন। খোওয়া গেছে হালের বলদ, কৃষানীর গহনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সব চলে-গেছে জলে। এবছরও একই দশা। ধান রোপনের কাজ শেষ হতেনা হতেই টানা বর্ষনে শেষ হয়েগেল কৃষকের স্বপ্ন। তবে রৌমারী ব্রহ্মপুত্র, ধরলা.তিস্তা, দূধকুমর, সোনাভরি, জিনজিরামসহ ১৫টি নদ-নদী দ্বাড়া দ্বিখন্ডিত জেলা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নতী কুলীয় নি¤œা-অঞ্চল। গ্রামীণ সড়ক, বেড়ী-বাধ, স্লুইজ-গেট না থাকায় অতিসহজে বানের পানি প্রবেশ করে কৃষির ক্ষতি-সাধন করে। বিগত দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে ধারনা করা হচ্ছে ১,২দিনের মধ্যে পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত হবে এলাকাটি। রৌমারী রাজিবপুরের ৪ লাখ মানুষের প্রধান পেষা কৃষি। কৃষক বাঁচাতে সরকারে সুষ্টু পরিকল্পনা জরুরী। রৌমারী রাজিবপুরের মানচিত্র গ্রাস করতে ধেঁয়ে আসছে রাক্ষসী ব্রহ্মপুত্র। পুর্বদিকে ভারত থেকে বয়ে আসা জিনজিরাম নদের ক্যানেল্ নদের দুপারে বেড়িবাঁধ না থাকায় বর্ষ-মৌসুমে সহজেই পানি উপছে গিয়ে প্লাবিত করে ফসলের মাঠ। সরেজমিনে কৃষকের সাথে সাক্ষাত কালে তারা বলেন, ধান রোপনের পর অবশিষ্ট বীজ তলা তলিয়ে গেছে। তারা সরকারী ভাবে বীজ সরবরাহের সহায়তা কামনা করেন।
রৌমারীতে টানা বর্ষনে তলিয়ে গেছে ৭ হেক্টর রোপা আমন ধেঁয়ে আসছে পাহাড়ী ঢল
Advertisement
Advertisement