মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অশালিন কাজে লিপ্ত অবস্থায় আটক পড়েছেন রৌমারী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান ফেরদৌস। গত শনিবার ৫ আগষ্ট দুপুর ১ টার দিকে রৌমারী কলেজ পাড়ায় নিজ বাড়িতে এলাকাবাসীর হাতে আটক হন ঐ শিক্ষক।
জানা যায়, শিক্ষকের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমী নামের মেয়েটিকে তিনি মোবাইল ফোনে বাড়িতে ডাকেন। মেয়েটির বাড়ি রৌমারী যাদুরচর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ী গ্রামের জুলফিকার মাষ্টারের মেয়ে। গাজিপুর জেলার ভাওয়াল কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাষ্টার্সের ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,শিক্ষক ফেরদৌস এর বাড়িতে মেয়েটি ঢুকলে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা ঘটনাটি জানার জন্য তার বাড়িতে গেলে ঘরের ভিতরে দুজনকেই অশালিন অবস্থায় পাওয়া যায়। শিক্ষক ফেরদৌস দিক বিদিক না দেখে হাতুর দিয়ে আমাদের মধ্যে একজনকে আঘাত করে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেন এবং পিছনের দরজা দিয়ে মেয়েটিকে বের করে দেন। আমরা মেয়েটিকে ধরে ঘরের ভিতরে রেখে দেই। এক পর্যায়ে ঘটনার বেগতীক দেখে ফেরদৌস থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে নিয়ন্ত্রেনে আনে। পরে পুলিশ ফেরদৌস ও মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে বাহিরের পরিস্থিতি নিন্ত্রনে আসলে বিষয়টির একটি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রাইভিট পড়ানোর নামেও তিনি শিক্ষার্থীদের অশ্লীল কথা বলেন। চরিত্রহীন হওয়ায় আমরা এখন প্রাইভিট পড়া বাদদিয়েছি। এমন চরিত্রহীন শিক্ষক সকল ছাত্রীর জন্যই বিপজ্জনক।
উল্লেখ্য ঐ শিক্ষক এর আগেও ছাত্রীর সাথে অশ্লীলতা করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তখন শিক্ষক হিসাবে সবাই ক্ষমা করে দিয়েছেন।
শিক্ষক ফেরদৌস নষ্ট চরিত্রের এবং এই নষ্ট চরিত্রের শিক্ষক রৌমারী ডিগ্রী কলেজ থেকে বহিস্কার করা হউক এমন স্লোগান দিয়ে উক্ত কলেজের ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ রবিবার সকাল ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিল রৌমারী সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা চত্তরে এক সমাবেশ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষ জীবনকে স্বারক লিপি প্রদান করেন।
এবিষয়ে রৌমারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সামিউল ইসলাম জীবনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি, এবং আজ সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষক ফেরদৌস এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ও তারা আমাকে একটি স্বারক লিপির কপিও দিয়েছে। আমি কমিটির সকলকে আগামী কাল সোমবার সকালে কলেজে ডেকেছি। কমিটি যাহা সিদ্ধান্ত নিবে তাহাই কার্যকর করা হবে।
অপরদিকে দুই দিন থেকে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রাখা অভিযুক্ত শিক্ষককে কেন কোন আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে থানায় রাখা হয়েছে, এমন প্রশ্ন বি-সার্কেল সিরাজুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, মেয়ের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এবং উত্তেজিত ছেলেদের সার্বিক পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রনের কারনে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।