কুমিল্লা প্রতিনিধি
ফখরুন নাহার রৌসন। বয়স আনুমানিক ৩২ বছর। কখনো সে হোমিও ডাক্তার। আবার কখনো হোমিও কলেজের শিক্ষিকা। সে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের এক শিক্ষকের বড় মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক এনায়েত উল্যাহ নামের এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। এনায়েতের বাড়ি পাশ্ববর্তী জোড্ডা ইউনিয়নের দুইয়ারা গ্রামে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী এনায়েত উল্যাহ বিদেশ চলে যায়। রৌসনের কোলজুড়ে আসা প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক মাস পর মারা যায়। বহুরুপী সেই রৌসনের পরকীয়ার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে অসংখ্য যুবক। তার পরকীয়া থেকে বাদ যায়নি হিন্দু যুবকও। যুবকদেও সাথে অশ্লীল কাজের বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও কল রেকর্ড থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌসন নাঙ্গলকোটের বাদশা আমেনা হোমিও কলেজের শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরী করছে। স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে শুরু হয় রৌসনের পরকীয়া প্রেম। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার অযুহাতে রৌসন স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসে। তবুও বন্ধ হয়নি তার পরকীয়া প্রেম। তার প্রেমে বাদ পড়েনি হিন্দু যুবকও। বাবার বাড়িতে এসে সে ‘আহমেদ হোমিও হল’ নামের একটি হোমিও চেম্বার খুলে। ওই চেম্বারে রোগী দেখার পাশাপাশি চালায় অসামাজিক কার্যকলাপ। সেখানে প্রেম করা যুবকদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে। এমনই এক যুবক তার প্রতারণার শিকার হয়ে রৌসনের মোবাইলে তোলা অশ্লীল সব ছবি ও একাধিক যুবকের সাথে কথা বলার রেকর্ডসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট সাংবাদিকদের নিকট দেয়। অভিযোগে আরও জানা গেছে, রৌসন তার গ্রামের শিব্বির আহমেদ নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিভিন্ন পার্কে গিয়ে তার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে। এছাড়াও ইমুতে কল করে উঠতি বয়সের যুবকদের তার পোশাক বিহীন ছবি দেখিয়ে পাগল করে তুলে। তার প্রেমের লীলা খেলায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামের যুবকরা। এছাড়া কুমিল্লার একটি হোমিও কলেজে লেখাপড়ার সুযোগে সে সপ্তাহে কয়েকবার কুমিল্লায় থাকে। অভিযোগ উঠেছে, সেখানেও এ নিয়ে জানাজানি হলেও রৌসন সংশোধন হয়নি। উল্টো ভিডিও, ছবি ও কলরেকর্ড কিভাবে সাংবাদিকদের হাতে পৌছলে সেটা নিয়ে একেক বার একেক জনকে সন্দেহ করছে। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রৌসনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারেও ০১৮৩৩৫৮৫৯৬৫ একাধিকবার কল করলেও সে রিসিভ করেনি। পরে তার বাবা মকবুল আহমেদও সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করি। আমার মেয়ের ছবিগুলো কিভাবে অন্যের হাতে গেলো জানি না। তবে তার ছবিগুলো একান্ত স্বামীর সাথে। অন্য যুবকের সাথে ছবিগুলো কে বা কারা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ছড়িয়ে দিয়েছে’।