বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভারত মহাসাগর বিশে^র তৃতীয় বৃহত্তম। এ পথদিয়ে বিশে^র অর্ধেক কনটেইনারবাহী শিপ, তিনভাগের একভাগ কার্গো ট্রাফিক, তিনভাগের দুইভাগ তেলবাহী জাহাজ চলাচল করে। বাণিজ্যিক দিক থেকে এ অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলের নিরাপত্তা, পাইরেসি রোধী অবস্থান এবং সন্ত্রাস বিরোধী পদক্ষেপ নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দারিদ্র দূরিকরণ, আর্থসামাজিক উন্নয়নের জণ্য বহুমূখী বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও সংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিকরা প্রয়োজন। এ জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করণ, বাণিজ্য জাহাজের নিরাপদ চলাচল এর মাধ্যমে বাণিজ্য উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে সাফটা, বিমস্টেক, আশিয়ান-এর মতো বাণিজ্যিক জোটগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য ভারত মহাসাগরের তীরবর্তীদেশগুলো প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট(পিটিএ) এর কথা চিন্তা করতে পারে। পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন সমুদ্র পথে বাণিজ্য অনেক নিরাপদ ও সম্ভাবনাময়। এ জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গত বৃহস্পতি বার রাতে (৩১ আগষ্ট ) শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া ফাউর্ডেশন -এর উদ্যোগে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও সিঙ্গাপুরের থিংকট্যাংক সমুহের পার্টানারশীপে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী “সেকেন্ড ইন্ডিয়া ওশান কনফারেন্স ২০১৭”-এর প্রথম স্পেশাল প্লিনারি সেশনে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশে^র মহাসাগরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হলো ভারত মহাসাগর। বিশে^র প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে যে মানবিক বির্পজয় ঘটে, তার ৭০ ভাগই হয় এ অঞ্চলে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানী ঘটেছে। সমন্নিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে পরিবেশের ভারসাম্য না থাকায় কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পরেছে। এ অঞ্চলের মানুষের টেকশই উন্নয়নের জন্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের সর্বাত্তক সহযোগিতা থাকবে। আমার বিশ^াস সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তা, বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ^াস করে নিরপেক্ষ বাণিজ্য, মানব কল্যাণ, অন্যান্য দেশেল সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর সুফল সংশ্লিষ্ট সকলেই ভোগ করতে পারে।
উল্লেখ্য, কনফারেন্সে ২৯টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। এবারের কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল পিস, প্রোগ্রেস এন্ড প্রোসপারেটি। বিগত প্রথম সম্মেলন ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ভারতের ইনস্টিটিউট অফ চাইনিস স্টাডিস এর পরিচালক এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত অশোক কান্থা-এর সভাপতিত্বে সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রানিল উইকরেমিসিং(জধহরষ ডরপশৎবসবংরহমযব), ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুশমা সরোজ(ঝঁংযসধ ঝধিৎধল) সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাক্রিশানান(উৎ. ঠরারধহ ইধষধশৎরংযহধহ)। অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিশনা বাহাদূর মাহারা(কৎরংযহধ ইধযধফঁৎ গধযধৎধ), মরিশাসের ওশান ইকোনমি, মিনারেল রিসোর্সেস, ফিসারিজ এন্ড শিপিং বিষয়ক মন্ত্রী প্রেমদূত কনজো(চৎবসফঁঃ কড়ড়হলড়ড়), শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিলক মারাপানা(ঞরষধশ গধৎধঢ়ধহধ), জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক পারলামেন্টারি ভাইস-মিনিষ্টার আইওয়া হোরি(ওধিড় ঐড়ৎরর),