সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক

0
463

অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা হবে, এরপর ব্যবস্থা কী নেয়া যায় ভাবা হবে * প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ব্যাপার বলে মনে হয় না * ১১টি অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অন্য বিচারপতিরা একসঙ্গে বসবেন না * অসুস্থতার কথা শোনার পরই এসকে সিনহার ডাক্তারি পরীক্ষা করা দরকার ছিল * সুপ্রিমকোর্ট নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় সেই প্রতিষ্ঠান বিবৃতি দিয়েছে * ষোড়শ সংশোধনীর রায় রিভিউ করব

Advertisement

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার অনুসন্ধান ও তদন্ত করা হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অভিযোগগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের আওতায়। ফলে বুঝতেই পারছেন, কে তদন্ত করবে। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা নিয়ে ভাবা হবে। যা হবে, আইন ফলো করেই হবে। তবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগের বিষয়ে শনিবার সুপ্রিমকোর্টের দেয়া বিবৃতির পর নানামুখী আলোচনার মধ্যে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা ১১টি অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অন্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে বসবেন না। আর অন্য বিচারপতিরা একসঙ্গে না বসলে তিনি একা বিচারকাজ করতে পারবেন না। কারণ আপিল বিভাগে একক বেঞ্চের নিয়ম নেই।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই আইনমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি এবং তার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এসকে সিনহা ২ অক্টোবর এক মাসের ছুটির দরখাস্ত করেন। সেই ছুটির দরখাস্ত নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। তার অসুস্থতার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন।
এ পর্যায়ে আইনমন্ত্রী আবারও রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা প্রধান বিচারপতির চিঠি পড়ে শোনান। প্রধান বিচারপতির লিখিত বিবৃতির জবাব দিতে গিয়ে তিনি (প্রধান বিচারপতি) কীভাবে ছুটি নিয়েছেন এবং বিদেশ গিয়েছেন, তার বর্ণনা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থতাজনিত কারণে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটির আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। আবেদনে এসকে সিনহা ক্যান্সারসহ নানা শারীরিক জটিলতার কথা উল্লেখ করে বিশ্রামের জন্য ১ মাসের ছুটি নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে ওই এক মাস প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের জন্য নিযুক্ত করেন। এসকে সিনহা পরে ১০ অক্টোবর তার একান্ত সহকারী আনিসুর রহমানের স্বাক্ষরে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে আবারও একটা চিঠি পাঠান। সেখানে ১৩ অক্টোবর তিনি অস্ট্রেলিয়াসহ চারটি দেশে যাবেন এবং ১০ নভেম্বর দেশে ফিরে আসবেন বলে উল্লেখ করেন। দুই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জিও করতে হয়, সেটা করেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যখন তার বাসস্থান ত্যাগ করেন, তখন কাউকে ‘অ্যাড্রেস’ না করা একটা চিঠি দেন। সেখানে তিনি বলেছেন , তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি তার এ বক্তব্যে হতভম্ব। তার কারণ, দেশের প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে নিজ হাতে লিখিত চিঠিতে বলেছেন তিনি অসুস্থ। সাতদিন পর তিনি বলছেন, তিনি সুস্থ। আসলে তখনই ডাক্তারি পরীক্ষা দরকার ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি অসুস্থ বলে ছুটি নিয়ে দেশত্যাগ করেছেন- আমাদের কাছে এটাই সত্য, সব সময়ই সত্য হয়ে থাকবে। এটা নিয়ে বিতর্কের কোনো কারণ নেই। যারা বিতর্ক করছেন তাদের একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বোধহয় হাসিল হয়নি। তাই তাদের আজ এ মায়া কান্না।

১১টি অভিযোগ ওঠার পর এসকে সিনহার শপথ ভঙ্গ হয়েছে কিনা, যদি হয়ে থাকে তবে তার বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে দেশের বাইরে পাঠিয়ে তার অপরাধ ঢাকা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন বলছে, যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তবে তার সে ব্যাপারে ‘প্রসেস’ আছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। অভিযোগ যেহেতু উঠেছে, সেটা অনুসন্ধান করা হবে। অনুসন্ধানের পর যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসকে সিনহার দেশত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আনা হল- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্ট যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নয়। সেই বিবৃতির ব্যাপারে আমি কথা বলতে চাই না। তবে আমি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে সেই বিবৃতি পড়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের ৫ জন বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ তুলেছেন। তারা এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ১১টি অভিযোগ বিশদভাবে পর্যালোচনার পর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এসব গুরুতর অভিযোগ এসকে সিনহাকে অবহিত করবেন। তিনি যদি অভিযোগের ব্যাপারে সদুত্তর বা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারেন তাহলে তার সঙ্গে বিচারালয়ে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এ সিদ্ধান্তের পর তারা এসকে সিনহার বাসভবনে যান, তার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগের বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন। কিন্তু কোনো সদুত্তর না পেয়ে ৫ জন বিচারপতি সুস্পষ্ট জানিয়ে দেন, উক্ত অভিযোগগুলোর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসে তাদের পক্ষে বিচারকাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। আইনমন্ত্রী বলেন, এটাই যদি তাদের বক্তব্য হয়, তাহলে আমি বলব যতক্ষণ পর্যন্ত এই ১১টি অভিযোগের ব্যাপারে সুরাহা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা (৫ বিচারপতি) তার সঙ্গে বিচারকাজ করবেন না, বসবেন না। তাহলে তিনি কী করে এখানে বসবেন? কারণ আপিল বিভাগে কোনো একক বেঞ্চের নিয়ম আছে বলে আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে দুর্নীতির তদন্ত কে করে। আমাকে কী বলে দিতে হবে ২০০৪ সালের আইনে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন রয়েছে? অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান হতে হবে। অনুসন্ধানের পর যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে মামলা হবে। মামলার পর তদন্ত হবে। তদন্তের পর প্রশ্ন আসবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়। এই ‘প্রসিডিউর’ ফলো করা হবে। তিনি বলেন, যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলো সবই দুদকের আওতায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কে অনুসন্ধান করবে, কে তদন্ত করবে। দুদকে কে পাঠাবে এসব অভিযাগ- জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদকে অভিযোগ পাঠানোর আইন আছে। নিয়ম আছে। দুদক নিজেও অভিযোগ নিতে পারে। আইনে সেটা বলা আছে। তবে আমরা পাঠাব কিনা সে ব্যাপারে বিবেচনা করব।

এদিকে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো দুদকে এসেছে কিনা এবং এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হবে কিনা জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আই হ্যাভ নো কমেন্ট।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল শুনবে কিনা- এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে কিনা সেট নিয়েই আমার দ্বিমত আছে। বিতর্ক আছে। আরেকটা কথা হচ্ছে আমরা ষোড়শ সংশোধনীর রায় রিভিউ করব। রায়টি কিন্তু এই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে ‘রিস্টোর’ করা হয়েছে। এটা সঠিক হয়নি। একমাত্র আইন করতে পারে সংসদ। সেটা যদি সংবিধানও হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য আছে। সে বিষয়েই আমরা রিভিউ করব। সে কারণে এটা (প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ) সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ব্যাপার বলে আমার মনে হয় না।

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিষয়ে সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির কিছু ক্ষমতা আছে। সেটা তিনি ব্যবহার করতে পারেন।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে বিদেশ যেতে দেয়া হল কেন- এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। নিজের মুখে বলেছেন ১০ নভেম্বর দেশে ফিরে আসবেন। এটা স্বীকার করতে হবে যে, প্রধান বিচারপতির আসনটা একটা প্রতিষ্ঠান। এটা যিনি অলংকৃত করেন তার ব্যাপারে যদি ব্যবস্থা নিতে হয় বা অভিযুক্ত করতে হয় তাহলে সম্পূর্ণ আইন ‘সম্পন্ন’ করার পরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। খামখেয়ালিভাবে একজন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া বা তাড়াহুড়া করে ব্যবস্থা নেয়াটা সমীচীন নয়।

বিচারের আগে প্রধান বিচারপতির বিচার করা হলো কিনা- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, না। বিচার করা হয়নি। যারা তার সঙ্গে বসেন, তাদের সম্পর্ক আলাদা। তাদের কাছে রাষ্ট্রপতি যখন অভিযোগগুলা দিয়েছেন, তারা জেনেছেন। তারা তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করেছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমার আর কিছু বলার নেই।

প্রধান বিচারপতি দেশ ছাড়ার আগে সুপ্রিমকোর্টের রদবদল নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য শঙ্কা বলেছেন- বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি প্রবীণতম বিচাপতিদের মধ্য থেকে যাকে নিযুক্ত করবেন তিনি প্রধান বিচারপতির অনুরূপ কার্যভার পালন করতে পারবেন। ভারপ্রাপ্ত অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি যিনি আছেন, তিনি প্রধান বিচারপতি যে কাজ করতে পারেন, তিনিও সেই কাজ করতে পারবেন। এটাই সংবিধান। যদি কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন আনতে চান তিনি, ৯৭ অনুচ্ছেদ তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে। ফলে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা আইনসম্মত নয়।

সুপ্রিমকোর্টের বিবৃতির ফলে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়বে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, যদি সুপ্রিমকোর্ট নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, সেই প্রতিষ্ঠান তার একটা জবাব দিতে পারে। তারা সে প্রেক্ষিতে বক্তব্য দিতে পারেন।

দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে এস কে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হল কেন- এ প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, যে ১১ অভিযোগ আসছে, তার বিষয়ে আমি কথা বলব না। কারণ তাহলে একটা পক্ষ নেয়া হবে বলে আমি মনে করি। আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। এগুলো নিয়ে অনুসন্ধান হবে।

‘এস কে সিনহা বলেছেন, আমি পালিয়ে যাচ্ছি না আবার ফিরে আসব’- এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি এসব বলে নিজে বিব্রত হয়েছেন। তার কারণ কেউ বলেননি যে তিনি পালিয়ে গেছেন। তিনি ‘বিব্রত’ বলেছেন অন্য কারণে। তিনি ছুটি চেয়েছেন, দেয়া হয়েছে। তারপর বলেছেন অবসাদগ্রস্ত। বিদেশ যেতে চান। জিও করে দেয়া হল। তাকে বাধা দেয়া হয়নি। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি।

আনিসুল হক বলেন, টকশোতে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে কথা বলছেন কেউ কেউ। আমি নাকি মিথ্যা কথা বলেছি এস কে সিনহার ছুটি ও অসুস্থতার ব্যাপারে। আমি বলব, যারা এসব বলছেন তারা অর্বাচীন। আমি পেশাদার মানুষ। মিথ্যা আমার অভ্যাসে নেই। আমার বাবা বিশিষ্ট আইনজীবী, খারাপ মামলা হলেও কোর্টে মিথ্যা কথা বলেননি। আমিও বলিনি। এস কে সিনহা লিখিতভাবে অসুস্থতার কথা বললে আমি তো আইনমন্ত্রী হিসেবে অন্য কোনো কথা বলতে পারি না। প্রধান বিচারপতি যখন কোনো কথা বলেন, আমরা সন্দেহের চোখে দেখি না।

 

Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here